ভাঙতে ভাঙতে
চোখ রাঙানো যায়।
আমার চোখ-ই ঠিকটা শুধু দেখে
মূর্খের এই স্বর্গ আজকে হায়
রক্ত দিয়ে ভক্তের পিঠ সেঁকে।
অনেক রেখেছ মুখোশের পিছে ঢেকে,
ধ্বংসোন্মুখ প্রবৃত্তিভরা মন।
এখন স্বরূপ প্রকাশ পাওয়ার দিন,
অযুহাতটাই শুধু ছিল প্রয়োজন।
তিথি চলে যায় অতিথিরা পড়ে থাকে,
এদেশেতে আজ তারাই করবে রাজ
এদেশেতে আজ জন্ম নেওয়াও পাপ
যদি না থাকে একই বুলি এক সাজ।
এ দেশ যদিও খাতাতে ও কলমেতে
লিখে রাখে বটে সুমহান দর্শন,
বাস্তবে শুধু একটি কথাই মানে
মধ্যযুগীয় বর্বরতাই ধন।
আমার তো আজ কিচ্ছু করার নেই
আমার দেশ তো চলে গেছে কবে ভেগে,
আমার কাছে তো চিঠিগুলো শুধু আসে,
আক্রমনের ভয়ে যারা আছে জেগে।
আক্রমন! এও কি সম্ভব!
ওরা তো আমার খুব ভালো প্রতিবেশী
দুজনে কতই হাত ধরাধরি করি
বাসে ট্রেনেতেইও ঘেঁষাঘেষি করে বসি।
যার সাথে বসো শরীর মাত্র সেটা,
বুদ্ধি তো তার ধুয়েছে অন্য জলে।
যে জলে মিশেছে তোমারই পূর্ব-রক্ত,
সে জলেই ডুবে মারা হবে কৌশলে।
শান্তির সেই জলে তো গঙ্গা নেই,
ভ্রান্তির হ্রদ থেকে আনা সেই জল,
যে জলের নীচে হিংসার পাঁক থাকে,
যে জলেতে ফোটে সন্ত্রাস শতদল।।