আধুনিক শহর, শত শত দালান কোঠা আকাশ মুখী দাঁড়িয়ে
চৌত্রের খাঁ খাঁ রোদ্দুর গাছ পালার চিহ্ন পাওয়া কঠিন,  
রাস্তায় মানুষ গায়ে গা লাগিয়ে হাটে চিনেনা একে অপরকে !

একে অপরে ধাক্কা খেলে দুঃখ প্রকাশের সময় নাই .........
বোধ শক্তি হারিয়ে ফেলেছে, ছুটছে সবাই সামনের দিকে,
রিক্সা, ভ্যান, সাইকেল, গাড়ী, নাই বা বললাম বড় গাড়ী
একই পথে চলে মানুষ নামের (যন্ত্র ) রেলগাড়ী ।

বিভিন্ন ধরনের শব্দ কানে, মোবাইলের রিং বাজে আপন
মনে, কিছুই শোনা যায় না শব্দের গুনে।
তবু মানুষ ছুটছে সামনে, কাউকে হারিয়ে খুজছে মনে ।

শহরের বাসিন্দা গ্রামে গেলে হয় দিশেহারা, বাতাসে,
সীসা, ময়লা, র্দুগন্ধ, পলিউশন, এই হলো শহরের ভুষণ।
রাতের বেলা ছাদের উপর ইলেকট্রিকের বাতির মেলা
চাঁদ মামা, তারার মেলা, আকাশ তাদের পাত্তা দেয়না ।

প্রাণহীন শহরে, কাক ডাকা দুপুর, ইলেকট্রিকের তারে
কাকের দল বসে মিছিল করে, খাবার খুঁজে গলির মাঝে,
একুই ফ্লাটে অনেক পরিবার, সম্পর্ক নাই পাশের ফ্লাটে ।

মজার বিষয় আমি যতটুকু ন্ই, প্রকাশ করি অনেক বেশী
মেকী ভালবাসার আনন্দ উল্লাস, চেহারা দেখে মজি, অন্তরের
ভালবাসা গুমরে গুমরে মরে তবুও আমি ভালবাসি শহরের
জীবন, শীতের সকাল চারিদিকে মন।

পাশের বারান্দায় রানুর মুখ, আমার চোখে সরষে ফুল,
মনের ভিতর দোলা দিয়ে, মন ছুটে যায় বারান্দায়, কৌতুহল
বশে কাছে যাওয়া, রানুকে দেখে অবাক হওয়া। সামনে আসে
ছোট বেলার প্রেম কাহিনী, বুকের ভিতর তুফান জানি।