একাকীত্বের জ্বালা হৃদয়ের ভিতর জ্বলছে
আয়নার সামনে আমি আর আমার প্রতিচ্ছায়া
আমি যা প্রশ্ন করি সে আমাকে একই প্রশ্ন করে,
কি অদ্ভুত! কোন উত্তর মেলেনা।


চারিদিকে ঘনো অন্ধকার মোমবাতির আলো
আয়নায় প্রতিবিম্ব বিচ্ছুরিত আলোর রেখা সোজা
পথে মুখ মুখমণ্ডলে আঘাত হানছে;
কৃত-কর্মের ফানুস সুযোগ বুঝে বিরুদ্ধাচরণ করছে।


বিবেক দরজায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করছে, তুমি মানুষ তোমার
অপ-কর্মের বিচার হবে, প্রস্তুত হও!
অন্তর-আত্মার কাছে উত্তর খুঁজি, আমি যা করেছি,
আমার আর পরিবারের ভালোর জন্য!


বিবেক আবার প্রশ্ন করে, দেশের মানুষের হক কুক্ষিগত করেছো,
সেটার কথা কি তোমার জানা আছে !
অন্তর-আত্মাকে ডাকলে ও সাড়া দেয় না, কেন ?
আমি ইচ্ছা করে কোন অন্যায় করিনি।


মোমবাতির আলো নিভে গেল ঘর ঘনো কাল অন্ধকারে
নিমজ্জিত! চতুর্দিক থেকে বিবেক প্রশ্ন বানে জর্জরিত করে
কর্ণ-কুহু রে শব্দের প্রতিধ্বনি র ঘনঘটা নিস্তার নাই!
পালাবার পথ হারিয়ে ফেলেছি।


চিৎকার করে ডাকতে থাকি কেউ আছো বাঁচাও আমাকে
ওরা আমাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে, মেরে ফেলবে
আমায়। হঠাৎ বিদ্যুৎ’র বাতি জ্বলে উঠে, আমি ভীত, ক্লান্ত হয়ে
পড়েছি-আমার পাশে কেউ নেই। শুধু একা, শুধু একা!