অন্ধকারে গলি পথ চলে গেছে বহুদুরে
জীবন নামের মোমবাতি আত্ব-নিমগ্ন হয়ে
জলের ভিতর জ্বলে।


যে যত টুকু পারে ততো টুকু আলো ছড়ায়
অন্ধকার নিজে শুষে নিয়ে আলোর জন্ম দেয়,
নিজেকে নিঃশেষ করে, মার্তৃ-গর্ভে যেভাবে শিশু
মায়ের নিঃশ্বাস শুষে নিয়ে বড় হয়ে উঠে ।


আমার জীবনে একটা কাল অন্ধকার আছে
মোমবাতি জ্বেলে অন্ধকার দুর করার চেষ্টা,
মোমবাতি জ্বলে যতুই আলো ফুটানোর চেষ্টায়
ততোই ঘন-অন্ধকার হয়ে নেমে আসে।


আমার মোমবাতির অনেকে নাম দিয়েছে বর্ণ
মনুষ্যত্ব, বিবেক সঠিক পথে চলার দিশারী
আবার কেউ দিয়েছে লেখকের ইচ্ছা।


অন্তর আত্মার দু’হাত জোড় করে ভিখারীর মত
সমাজের দিকে তাকিয়ে আর ধর্মান্ধতা নয়
ধর্মে ধর্মে বিভেদ, হিংসা বিদ্বেষ কলুষতা নয়
সুর্যর আলোর মত জ্বল জ্বল করবে মানুষের মন,
ভাষ্কর্য বা মুর্তি নয়, এ যে আমার ইতিহাস!


শিল্প-সাংস্কৃতি, আমার ঐতিহ্য, মৃৎ-শিল্পির অলংকারের
বহিঃপ্রকাশ, তবে কেন এত বিভেদ বিদ্বেষ !
তবে কি কোন উদ্দেশ্য হাসিলের এই নোংরা পথ
অন্তর দিয়ে ভেবে দেখবেন কি !
আমার বাংলার জনগন।