কৃষ্ণকলি, শীর্ণ দেহ, অনাবৃত দেহ রাজপথে হাঁটে ........!
নরপশুর দল, লোলুপ দৃষ্টিতে, হায়েনা রূপে অবলোকন করে
কেউ বাহুতে বেঁধে রাখে জোর করে
আবার কেউ মুখ চাপা দিয়ে জোর করে
গোপন সজ্জায় শুয়ে সংশয়ে মুগ্ধ মাতমের বশে।


মনুষ্যত্বের চিটে ফোটাও নাই, পশুত্ব বহিঃপ্রকাশ ঘটায়
নিজে সুখী হয়, অপর জন ঘৃণায় নিজেকে ব্যারিকেড দেয়
হায়রে খালি চোখের মানুষ ..........!


কেউ বাঁধে চুল মিররের সামনে বসে
সিক্ত খোপা র সাথে পাখিটির কামনা কুড়ায়।
হঠাৎ আগন্তুকের আগমন বাহুর করিডোরে
আট কায় জিঘাংসা ঢেলে দেয় গোপনে, অসহায় নারী
নিবৃত্ত করার বৃথা চেষ্টায় রত, অবশেষে ছেড়ে দেয়
দেহ খানি হায়েনার কাছে।


মানুষের কাছে, সমাজের কাছে জন্ম নেয় নতুন ঘৃণার পাত্র
দিগ্বিজয়ীর মত হিংস্র পশু দন্ত বিকশিত করে আনন্দ উপভোগ
করে; পরাজিত নারী মেঘলা নয়নে, লুক্কায়িত ঘৃণা অন্তরে
অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বদনে!
সমাজ, দেশ এমনকি রাষ্ট্র ব্যর্থ নারীর সম্ভ্রম সংরক্ষণে ।