শহর আর গ্রামের মধ্যে সেতু বন্ধন উপ-শহর,
না আধুনিক ঝক ঝকে শহর, না আদর্শ গ্রাম
কোনটি র মধ্যে পড়ে না।
প্রাচ্য আর প্রাশ্চাত্বের সভ্যতা মিলে মিশে
বাংলার গ্রাম তার নিজস্বতা হারিয়ে পৌঁছেছ
এক নতুন সভ্যতায় নাম তার গ্রাশ!
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, লুঙ্গীর সাথে টাই ও
স্যুট পরার মত! অদ্ভুত কিংভুৎ কিমাকার।


অদ্ভুদ সভ্যতায় আমরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি,
পূর্ব প্রজন্মে র মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে! তাতে
নতুন প্রজন্মে র কোন আফসোস নাই, বরং তারা
বর্তমানের সাথে মিলে মিশে এক হয়ে গেছে।


যতই বর্তমান পরিবেশ কে আধুনিকতার দোহায়
দিয়ে চলুক না কেন, এখনও সূর্য উঠে এবং ডুবে
পাখিরা গান গায়, সন্ধ্যায় নিজ গৃহে ফিরে যায়,
রাখাল গরুর পাল নিয়ে মাঠে যায়, কৃষক নাঙ্গল’র  
সাথে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ও জমিতে ফসল ফলায়
তবুও পুরানিক ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেনি।


আজকে ঈদের দিন মনটা ভাল নাই, যদিও মসজিদে
ঈদের নামাজ হয়েছে, কিন্তু আবেগ প্রকাশ করা থেকে
বিরত থাকতে হয়েছে, কোলাকুলি র পরিবর্তে চোখের
ইশারায় আনন্দ প্রকাশ করা হয়েছে !
মহামারী করোনা কেড়ে নিয়েছে আমাদের আদি ঐতিহ্য।



(বিঃদ্রঃ গত ১৫.০৫.২১ইং তারিখ মহামারী করোনার সময় কবিতাটি লেখা)