পনের ডিসেম্বর’২২ রাতে আমার ছেলের সাথে ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে
ঘুরাফেরা করছি আর আমার ছাত্র জীবনের স্মৃতি ছেলের সাথে শেয়ার করছি
আমি আর ছেলের মা আমার ক্লাসমেট দীর্ঘ সাত বছর এক সাথে তার গল্প
ছেলে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি স্বাধীনতার ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলি।


ছেলের দাদা দাদী উভয়ে মুক্তিযোদ্ধা ছিল আমি তখন অনেক ছোট
মায়ের মুখে স্বাধীনতার গল্প শুনেছি, পাক বাহিনী আর রাজাকারদের কাহিনী শুনেছি
তারা কত নিষ্টুর আর অত্যাচারি ছিল ! ছেলেকে বলতে গিয়ে চোখ ছলছল
আর গলা আমার ধরে আসছে !


চৌদ্দ তারিখ রাতে এই ক্যাম্পাস থেকে প্রফেসারদের, বুদ্ধিজীবিদের,
অর্থাৎ জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়ার জন্য রাজাকার আলবদরদের সহায়তায়
বেছে বেছে তুলে নিয়ে রায়ের বাজার বৌদ্ধ ভুমিতে হত্যা করে।


প্রতিটি বাবা মার উচিৎ তাদের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস বলা
ছেলে মেয়েদের দেশপ্রেমী করে গড়ে তোলা, যেন দেশের মানচিত্রে আর কখনো
কেউ খামচে ধরতে না পারে, দেশকে সোনার বাংলায় পরিনত করা।


আমি মায়ের কাছ থেকে বই পড়ে যতটুকু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানি ছেলের সাথে শেয়ার
বিজয় দিবস কতোটা আমাদের হৃদয় ও প্রণের সাথে মিশে আছে ...................,!
আমি যখন গল্প বলছিলাম ছেলে আমার বার বার প্রশ্ন করছিল গভীর ভাবে জানার জন্য !