ভালবাসা প্রেম বলে কিছুই ছিল না আমার
অভাবের সংসারে বড় হয়েছি, দুঃখ, কষ্ট,
অভাব নিত্য সঙ্গী ছিল আমাদের সংসারে
এক বেলা না খেয়ে থাকলেও আনন্দ ছিল।


দারিদ্রের কষা ঘাতে ছাত্র ভাল থাকার পরও
লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে রোজগারের রাস্তায় নামা
কৈশরে সংসারের ঘানি নিয়ে ছিলাম কাঁধে,
দমকা হাওয়ার মত ধনীর দুলালীর সাথে বিয়ে।


মানুষিক ভাবে কখনো মেনে নিতে পারিনি বিয়ে
সারাক্ষণ মাথায় ঘুরত কখন মুক্তি পাব বিয়ে নামক
যন্ত্রনা থেকে, ধণীর দুলালী হলেও মেয়েটির বুদ্ধি
আর সিদ্ধান্তে অবাক হতাম।


আমাকে আমার পরিবারকে বার বার সমুহ বিপদ থেকে
বাঁচানোর পর কখন যে ভালবেসে ফেলেছি, কিন্ত
কখনো বলা হয়ে উঠেনি, তাকে বলব সাহস হয়ে উঠেনি,
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালবাসা দিবস্ তার চাওয়া তাকে
সময় দিতে হবে।


আমার ভালবাসার কথা বলব বলে উপহার স্বরুপ দুটো
চারা গাছ ক্রয়। উপহার হিসাবে দিয়ে ভালবাসার কথা বলে
দিবো। বাড়ী থেকে পার্কে নিয়ে ঐ চারা গাছ দুটো দিলাম।


অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে বললো গাছের চারা! বুঝলাম
পছন্দ হয়নি! বলালাম মন খারাপ করো না, ভালবাসা দিবসে
মানুষ কত কি উপহার দেয় তার ভালবাসার মানুষ কে কিন্ত
আমি কেন গাছের চারা উপহার দিচ্ছি! কারন আছে ?


বলছি, তবে শর্ত আছে, আমি কথা বলার সময় তুমি কোন কথা
বলতে পারবানা, ভালবাসার সব কথা খুলে বললাম,
কিভাবে ভালবাসা জন্ম নিলো আমার মধ্যে তাও বলে দিলাম।
আমাকে সেও খুব ভালবাসে অকপটে স্বীকার করে নিলো।


দু’জনে মিলে বকুল ও কৃঞ্চচুড়া গাছের চারা দুটো পার্কের এক
কোনে রোপন করলাম আর বললাম এই চারা গাছ দিনে দিনে বড়
হবে, শিকড় মাটির গভীরে যাবে আমাদের ভালবাসা আরো গভীর
থেকে গভীরতর হবে।


মানুষ মরনশীল, আমরা এক সময় সুন্দর পৃথিবী থেকে চির কালের
জন্য বিদায় নিয়ে নিবো। কিন্ত এই গাছ আমাদের ভালবাসার স্বাক্ষী
হয়ে রয়ে যাবে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম, প্রেমিক যুগোল এই পার্কে
আসবে গাছের গোড়ায় বসবে, ফুল ছিঁড়ে প্রেমিকার বেনীতে গুজবে
ভালবাসার খুঁনসুটি করবে, আমরা না থেকেও ওদের মাঝে বেঁচে থাকব।
আমার ভালবাসার মানুষটির আবেগে নয়ন জলে ভরে এলো, আমার
দিকে তাকাতে তাকাতে অশ্রু গড়িয়ে বুকে পড়তে লাগল।