কোকিল ডাকে কুহু কুহু, মন থাকেনা ঘরে
কদম গাছে কোকিল বসে আনন্দে গান করে।

নিজ দিয়ে যায় পার্বতী, দেবদাসের খোঁজে
দূর থেকে চন্দ্রমুখী, পার্বতী কে দেখে ।

দেবদাসের পরকীয়ায় চন্দ্রমুখী খুশি,
চুনি লালের বিরাগ ভাজন, পার্বতী সুখি ।

বর্তমানের ভালবাসা, চোখের ভিতর পাখির বাসা,
এসএমএস’এ মনের আবেগ, প্রকাশ করে সারাদিন।

সময় পেলে মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত থাকে নিশিদিন
যৌবনের চাওয়া পাওয়া প্রযুক্তি কে সময় দেয়া।

মা-বাবা থাকলে ঘরে, মনের মধ্যে বিরোক্ত ,
ভালবাসার অন্তর দহন, ছুঁয়ে না দেখলে সার্থক কেমন ?

দুই দিনের ভালবাসা, তিন দিনে হয় ফুড়ুৎ,
হৃদয়হীন ভালবাসার পরিনতি হয় এমন ।

কলি যুগের ছেলে/মেয়েরা ফিউশনের মতন,
আজকে একজন ভাল লাগলে, কালকে লাগে দু’জন।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে মর্ডাণ যুগের দেবদাস,
পার্বতীরা সুযোগ বুঝে, থিতু হয় নিজ বাস ।

বৈশাখ দিয়ে বছর শুরু, কোকিল বলে পাখির গুরু,
আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, জ্যৈষ্ট-আষাঢ়ে তালবেতাল ।