বহু বছর পর এমন বৃষ্টির জলে ভিজা চলন বিলের ভিতর ফাঁকা পথ  
পথে কোনো জন-প্রাণী নাই, আসে পাশে বাড়ীর ঘর নাই,
গা ছমছম করছে, ঘনো বৃষ্টিতে দু’হাত দুরে যায় না কিছু দেখা ।


বাল্য কালে বন্ধুরা মিলে বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে ফুটবল খেলেছি,
মা লাঠি নিয়ে তাড়া করতো, কান মুলা থেকে বাঁচার চেষ্টায়  
বাড়ীর পিছনে সুযোগের অপেক্ষায় ভিজা কাপড়ে লুকিয়ে থেকেছি।


বৃষ্টির ফোটা গায়ে পাথরের মত আঘাত করছে এ এক নতুন অনুভূতি,
যা বাল্য কালে ছিল না, দিনের শেষ সময় তবুও চারিদিকে অন্ধকার
যেন আকাশ ঝুলে গিয়ে ধরিত্রীর সাথে আলিঙ্গন করছে!


রাস্তার দু’ধারে মেহগনি আর ইউকালিপটাস গাছের লম্বা সারি,
পুব আকাশের ধেয়ে আসা হাওয়াতে গাছে গাছে মিলনের যুগলবন্দী,
প্রকৃতির রূপ দেখে নয়ন ফেরানো দায়, সৃষ্টি কর্তা র অপূর্ব লীলাখেলা!


চলন বিলে জল নেই আছে ফসলের মাঠ, সবুজ আর শ্যামলে ঘেরা,
ঘনো বৃষ্টি আর গোধুলী লগ্নে ফসলের মাঠ যেন রুপালী রং’র ঝলক
বিদ্যুৎ’র তারে অজস্র শালিক বসে বৃষ্টির ধারায় অবগাহন করছে!


নোটঃ কবিতাটি “বৃষ্টিতে ভেজা”-২৫.০৫.২১ইং তারিখে লেখা।)