হঠাৎ মাথায় চিন্তা এলো, আমরা মানব প্রজাতি কথা বলি.
চিন্তা করি ও ভাবতে পারি বিষয়, কিন্ত
কিভাবে ! ভাবনার বিষয় ............!

বনমানুষ, গেরিলা, বানর, সিপপাঞ্জি দেখতে মানুষের মত,
হাত দিয়ে খায়, ইট পাটকেল ছোঁড়া ছুঁড়ি করে, বিভিন্ন শব্দ
ব্যবহার করে কিচির মিচির করে এবং শুধু চিৎকার করতে
পারে কিন্ত কথা বলতে পারে না ।

মানুষের কথা বলার জন্য বাংলা, ইংরেজী, ফ্রান্স ইত্যাদি
বর্ণ মালা আছে, যে কোন শব্দ ব্যবহার করলে ঐ বর্ণের
বাহিরে একটি ও অক্ষর নাই।

মানুষের হাত, পা, ভাষা ও মস্তিস্কো ব্যবহার এবং চিন্তা দিয়ে
সমন্বয় করে কথা বলে কিন্ত পশুরা তা পারে না. তাদের সব
থাকার পরে ও !

কালে কালে যুগে যুগে একটু একটু করে আজ ভাষার ব্যবহার;
গলার স্বরকে মনের ধারনার বাহক হিসাবে ব্যবহার করলে
ভাষা হয়ে দাঁড়ায়, কিন্ত অন্যরা পারে না ।

বন-মানুষেরা একে অপরের সাথে ভাব বিনিময় করে না বিধায়
কথা বলতে পারে না। আধুনিক যুগের বৈজ্ঞানিকেরা গবেষণা
করেছেন, চিন্তা ছাড়া ভাষা হয়না আবার ভাষা ছাড়া চিন্তা করা
যায় না ।

তাহলে চিন্তা আসলে মানুষের অনুচ্চারিত ভাষা ছাড়া অন্য কিছু
নয়। জন্মের পর শিশুরা চিন্তা করতে, কথা বলতে শিখে,একই
সাথে যা কিছু ভাবে তাই চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলে বা উচ্চারন করে  
চিন্তা করে।

বড়দের কাছ থেকে শিশুরা প্রতিনিয়ত শিখে, চিন্তা এক, ভাষা
আর এক। আসলে তা নয়। চিন্তা ও ভাষাই এক।আচ্ছা তাহলে
চিন্তা কিসের সাহায্যে করে ? মস্তিস্কের সাহায্যে।

ভাষার সাঙ্গে শুধু মাত্র হাতের সম্পর্ক নয়, পুরোটা নিয়ন্ত্রন করে
মস্তিস্কো। (সংক্ষিপ্ত)