আমি আমার বিবেক কে প্রশ্ন করি
পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই কি, ধর্মান্ধতা ছিল?
আমি জানিনা! তবে জানতে চাইনা,
তাহলে কেন মানুষে মানুষে হানাহানি
রক্তপাত ক্ষণ খারাবি সমাজে,বলতে পারেন!
মানুষের বহিরাবরণ দেখে কি সনাক্ত হয়
কে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান,বুঝা যায় না,
উপাসনা করা, বিশ্বাস করা বিধাতা কে মেনে চলা
“ইতিহাসে দেখা যায় বহু বছর পর মানুষই তৈরি করেছে
বিভেদ,
তুমি নামাজ পড়লে বুঝলাম মুসলিম, মন্দিরে গেলে হিন্দু,
গ্রীর্জায় গেলে খ্রীষ্টান, সকলে কি বলতে পারো,
কেন! মসজিদ, মন্দির ও গ্রীর্জায় উপাসনা করি।
আক্ষরিক অর্থে কেউ বলতে পারে না,
কিন্তু সবার উদ্দেশ্য এক! বিধাতা কে সন্তুষ্ট করা।
সবাই পিয়াসী স্বর্গে প্রবেশ করা।
তাছাড়া কেউ কি নরকে যাওয়ার জন্য উপাসনা করে !
করে না তবে কেন? সাম্প্রদায়িকতা, খুন ও রক্তপাত,
তাহলে কি, নিজের জিঘাংসা মিটায় গায়ের রক্ত,অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ,
কিডনী, চোখ এমনকি দেহের সমস্ত কিছুই ছেলে অথবা মেয়ের এক
ধর্মে ধর্মে উপাসনার মাধ্যম আলাদা কিন্তু সকলের
ইহ জগতে ও পর জগতে চাওয়া পাওয়া এক,
তবে কেন সাম্প্রদায়িকতা বলতে পারেন ? আমি জানিনা!
ধর্মে ধর্মে বিভেদ থাকলেও একে অপরকে কি
ভালবাসে না, একে অপর কে কোলাকুলি করে না,
যৌবিক চাহিদা মিটায় না, সবই যদি অন্তরালে চলে,
তবে কেন, সাম্প্রদায়িকতা, কেন প্রকাশ্যে বিরোধিতা
বলতে পারেন! আমি জানি না।
মজার বিষয় হলো“এই জানি না” শব্দই আমাদের
বিভেদ করে রেখেছে। লেখা পড়ার ইচ্ছে বা আগ্রহ নাই,
জানার বা ইচ্ছা আগ্রহ নাই, অন্তর ধারনের ক্ষমতা নাই,
কষ্ট করার ধৈর্য নাই, ইত্যাদি।
কারণ জানি না বললেই তো আমার কোন দায়িত্ব নাই।
কিন্তু সুযোগ বুঝে বিরোধিতা করার কারন! আমি জানি না।