আমি টোকাই আমার জন্মের ঠিকানা নাই
জ্ঞান হয়ে জন্মদাতা ও দাত্রী কে দেখি নাই।
পথে হেঁটে চলি মনে মনে বলি
ফুটপাত আমার রাস্তা, স্টেশন ও বাস টার্মিনাল
আমার ঘর, মানুষের বাঁকা চোখে ই জীবন চলা।


পথিক চলার পথে আঙ্গুল তোলে ওরা জারজ সন্তান,
সমাজে কুলাঙ্গার, ভবিষ্যৎ বিনাশী, দিনের বেলায়
অবহেলা অবঙ্গা, তাচ্ছিল্যে, অনাহারে সময় কাটে,
রাতে মাস্তান আর পুলিশের দৈরাত্ব ঘুমাবার জায়গা নাই।


সমুদ্রের ঢেউ’র শেওলা আমি ভেসে চলেছি,
দূর থেকে দিগন্তে অজানার পথে গমন আমার,
যৌবনের উন্মাদন পুরুষের রস বিলিয়েছে নারীর
গহ্বরে জন্মেছি মানুষ রূপী ক্রীতদাস হয়ে!


ভালবাসা, প্রেম, মায়ের কোল, বাবার আদর, ভাই
বোনের স্নেহ আদর অজানা থেকে গেল জীবন ভর।
আমার কি দোষ! এই ধরায় আমার জন্মদাতা পুরুষের
শুক্রানু আর জন্মদাত্রী র ডিম্বাণু মিলিত আমি।
যৌবনের রাশ লীলায় ভোগ বিলাসী পুরুষ ও মহিলা।


ধরণীতে জন্মেছি, মানুষ প্রজাতির জারজ হয়ে, আমারও
যৌবন আছে, ইচ্ছা জাগে নারীর সংস্পর্শ পেতে,
হারিয়ে যেতে মন চায় পিচ্ছিল গহ্বরে!
কিন্তু আমি তো ঐ পুরুষ ও মহিলার মত হতে পারিনা !
নতুন আমার মত আর এক জন জন্ম দিতে।