কি আশ্চর্য! আকাশ এত কাঁদে কেন?
সকালে হাসে তো দুপুরে কাঁদে, আবার দুপুরে হাসে
তো বিকেলে কাঁদে,
কখনও কখনও সারারাত কাঁদে, কান্নার জল গড়িয়ে পড়ে ধমনীতে
প্লাবিত চারিদিক, ডাংগায় থাকার জায়গা নাই।
পক্ষান্তরে মানুষ কেন কাঁদে না  ?
চোখের জল শুকিয়ে গেছে, নৈরাজ্যবাদীদের হাঙ্গামায়,বারুদের গন্ধে,  
তেজস্ক্রিয়ায়, ধর্ম রক্ষার যুদ্ধে,
যৌবন রক্ষায় নারীকে ধর্ষণ তখন ধর্ম যায় না, উল্লাসে ফেটে পড়ে,
নিজেকে বীর পুরুষ মনে করে, ধর্ষণে ক্লান্তি নাই।
নারীর গর্ভে একটু একটু করে বেড়ে উঠে পিতৃ-পরিচয় হীন শিশু,
এই শিশু কোন ধর্মের পরিচয় নিয়ে পৃথিবীতে আসছে,
কে তার দায় নিবে, বলতে পারেন!
ধর্ষিতা নারীর সমাজে ঠাই নাই কি দোষ নারীর ! কেন শকুনের মত,
পাগলা কুকুরের মত, ধর্মের প্রাচীর পেরিয়ে নারীর দেহে অত্যাচার,
আমরা কি আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি ?
আধুনিক সভ্যতার যুগে সব খোলা কোন কিছুই আর গোপন নাই
কি দোষ রোহিঙ্গাদের, ফিলিস্তিনিদের, আফগানী দের যা যা বরের
জীবন বেছে নিতে হয়েছে!
কারা এই অত্যাচারের সাথে হাত মিলিয়ে উলঙ্গ নিত্য করছে!
তাদের বিবেক, বুদ্ধি, মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে !
ও পৃথিবীর মানুষ তোমাদের কাছে আমার নিবেদন সেখানেই আছ,
সেখান থেকেই নর পশুদের ঘৃর্না কর, প্রতিবাদে সোচ্চার হও,
প্রয়োজনে জীবন বাজি রেখে রুখে দাঁড়াও,
এই সুন্দর পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখ ! সবার বাঁচার অধিকার আছে,
যে যার ধর্ম বিশ্বাস করার স্বাধীনতা আছে, স্বাধীন ভাবে পালন করতে দাও
এটাই আমার আরজি!