করোনা ভাইরাসে পৃথিবীর সমস্ত দেশের মত আমাদের দেশেও
লক-ডাউন চলছে, প্রায় বন্দী দশা।
বিয়ে আমার নিজের পছন্দের, আমার এবং ওর, দু’পরিবারই
প্রথমে মেনে নেয়নি ।


মনে আছে ৯৪ সালের ২৩ আগস্ট,বাঁধ ভাঙ্গা ইচ্ছা এক সাতে
থাকবো বলে, কিন্তু পারিনি! আমি প্রত্যেকের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি,
কেউ আমার কষ্টের ভাগীদার হয়নি, কেউ এক বেলা থাকতে
দেয়নি!


আমার শ্বাশুড়ী মেয়ের মা তো! অনিচ্ছাকৃত মেনে নেয়; আমাদের
থাকার ঘর হয় বাড়ীর পরিত্যাক্ত এটি ঘরে।
তখন সেই ঘরটায় মনে হয়েছিল স্বর্গের বাগিচা, থাকলাম বটে
কিন্ত প্রতিদিন বাড়ীতে অতিথিদের আসা-যাওয়া লেগেই আছে !


গিন্নি আমার বাড়ীর সকলের ছোট, স্কুলের শিক্ষিকা, বাড়ীর সব
কাজ সেরে, আবার উডকো পারিবারিক গল্পে প্রায় প্রতিদিন রাত্রি
২টা ৩টা পর্যন্ত আড্ডা হতো, আমি পরিত্যাক্ত ঘরে অপেক্ষা করতে  
করতে ঘুমিয়ে পড়তাম। মনের কষ্ট মনে থাকত !


আর্শিরবাদ হয়ে এলো আমার জীবনে চাকুরী, কারাগার থেকে মুক্তি
পেলেও কর্ম-এলাকা থেকে সপ্তাহে, পাক্ষিককে এবং মাসে এক
বার দেখা হতো। বিবাহিত জীবনে একটানা আমাদের থাকা হয়নি,
অনেক কষ্ট পেলেও আমরা কখনই একে অপরকে ভুল বুঝিনী হৃদয়
থেকে আলাদা হয়নি !


দুরে থাকলেও ছিল হৃদয়ের মাঝে। কোভিড-১৯ প্রাকৃতিক দূর্যোগ
সাধারণ ছুটি চলমান, হঠাৎ পড়ে পাওয়ার মত আমরা এক সাথে
থাকার সুযোগ পেলাম, অভ্যাসটা খারাপ হয়ে গেল .........।


কবিতাটি ১০।০৫।২০২০ তারিখের লেখা, বিধায় কবিতার নাম দেয়া হয়েছে লক-ডাউন।