অপেক্ষার প্রহর গুনছি কখন ট্রেন আসবে সময় তো
বহিয়া যায়, তালিকার নিদ্রিষ্ট সময়ে ট্রেন গন্তব্যে
পৌঁছেছে আমার জানা নাই।


মা আসবে আমার কাছে তাঁর খুব ইচ্ছে কিছুদিন
থাকবে আমার বাসায়। কমলাপুর রেল ষ্টেশনে বসে
অপেক্ষা, অনেক কিছুই চোখের সামনে ভেসে আসছে!


মা আমার জন্মদাত্রী আর স্ত্রী আমার জীবন সঙ্গী,
রেহেনার সাথে মার কোন দিন মতের মিল হয়নি।
মা প্রতিটি কাজের খুঁত ধরে, আগের যুগের মানুষ!


পৃথিবী দেখার প্রথম বাহন আমার মা, মা ছাড়া
আমার কোন অস্থ্যিত্ব চিন্তা করাও বোকামী, কিন্ত
একটা সময় পর মা অন্য একটি মেয়ের কাছে
আমার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে!


কিছু দিন যেতেই মা আর রেহেনা একে অপরের
প্রতিদন্দি হয়ে উঠল, মা ভাবে রেহেনা এসেই তার
ছেলেকে তার কাছ থেকে কেড়ে নিলো!


রেহেনা মনে করে তার স্বামী মা ঘেঁষা তাকে কোন
গুরুত্ব দেয়া হয় না, গোপনে মার সাথে শলা পরামর্শ
করে, টাকা পয়সা দিয়ে দেয়।


বলুন তো ! আমি পড়েছি বিপদে, মা নাকি স্ত্রী, আমি
তো দু’জনকেই চাই! ট্রেনের হুইশাল বেঁজে উঠতে
দেখি জানালার ভিতর থেকেই মা আমাকে খুঁজছে,
ইশারা করে হাত দেখাতে এক গাল হাসি দিলো!  
মাকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়ে এলাম.....।