অন্তর আত্বার প্রশ্নে বিভর স্বাধীন বাংলার মুখ
৭১’র যুদ্ধের কথা ভেসে আসে বাংলার দুঃখ
যুদ্ধের সময় পিচ্চি আমি কিছু নাই মনে
মুক্তিযোদ্ধা মা-বাবা,বড় মেজো সেজো ভাই,
বড় আপাও সহযোগী মা গল্পে বলেছে তাই।
বড় হয়ে মায়ের মুখে শুনেছি মুাক্তিযুদ্ধের কথা
বিভিষীকা ময় সময় তখন ঘরে থাকা বোকা,
জীবন মু্ত্যুর মাঝ খানে বেঁচে থাকার লড়াই।
রাজাকার আলবদর এলাকার খবর খুঁজে
পাক-বাহিনীর ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় গোপনে।
প্রতিবেশী ভাই,রাজাকার আঃ করিম সকাল বিকাল
বাড়ীতে এসে বাবা ভাই’র খবর নিতে চায়।
মুক্তি-বাহিনীর আনা গোনা এলাকায় ছিল বেশ
রাজাকারদের খবর দিলে নজরানা দিবে বেশ।
মা আমার মুক্তিযোদ্ধা জানতো না কেউ,
সুযোগ বুঝে পাক-হানাদের তথ্য নিতো সেও,
করিম রাজাকার পাক-হানাদের গোপন খবর যত
বড় বোন ভেবে মায়ের কাছে সবই বলে দিত।
বাড়ীর পিছে কলা-বাগান ভারী অন্ধকার
মুক্তিযোদ্ধারা নিশি রাতে গোপন মিলিত হতো
মা আমার গোপন খবর মুক্তি-বাহিনীকে দিতো,
তথ্য মত মুক্তি-বাহিনী রণ-কৌশল সাজাতো।
ভুরুলিয়ার মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী ১৬’জুলাই রাতে
রেলের ব্রিজ বোমা মেরে উড়ায় নিজের হাতে,
মারা যায় পাক-হানাদার, রাজাকার, আলবদরের লোক,
ঢাকার সাথে ময়মনসিংহের বিচ্ছিন্ন হয় যোগাযোগ।
কলা বাগানে অন্ধকারে মুক্তি-বাহিনীর মিটিং যখন হতো,
মা তাদের রান্না করে ডাল ভাতে খাওয়াত,
যাবার বেলায় চাল ভাজা আর জল সঙ্গে বেঁধে দিত।
জীবন বাজি রেখে মাগো দেশের জন্য যুদ্ধ করলে তুমি!
তোমার জন্য পেলাম আমরা স্বাধীন বাংলা জন্মভুমি।