তেলাপোকার উৎপাতে থাকতে পারি না ঘরে
এখানে হাঁটে, সেখানে হাঁটে, হাঁটে বিছানায়,
কাপড়-চোপড় কেটে ফেলে, ধরতে পারি না।


বৃষ্টি হলে ঘরের মেঝে জল জমে যায় অনায়াসে ,
কীট-পতেঙ্গের মহা-মিলন ঘরের ভিতর ধায় ।
অতিথি দের আদর যত্নে দিবা-রাত্র চলে যায়
আদর-যত্নের ঘাটতি হলে, অসন্তোষ প্রকাশ করে।


মশার গোষ্টি মিছিল করে অনশনের হুমকি মারে
ওয়াশ রুমে প্রবেশ করলে চারিদিকে ঘিরে ধরে।
ডানে কামড় বামে কামড় রক্ত চুষে খায়
ভুলো ক্রমে মারা পড়লে মাটির উপর রক্ত ছড়ায়।


তাই না দেখে পিঁপড়ার দল আনন্দে লাফাই
মিলিটারির বেশে কুচ-কাওয়াজ করে ঘরে ঢুকে
শীতের খাবার সংগ্রহ করে লক্ষ্য ভেদে আপোষ নাই
বাঁধা দিলে বাঁধবে লড়াই প্রাণ থাকতে ছাড়বে না।


আগে থেকে ঘাপটি মেরে টিকটিকি পরিকল্পনা করে
খাবার লোভে ঝাঁপিয়ে পড়ে সুশৃঙ্খল পিঁপড়ার লাইনে
সম্মিলিত কামড়ে ধরে প্রাণ ভয়ে ছুটে পালায় !


কৌতুক ভরে দেখতে গিয়ে স্বর্প মিয়া ঘরের বাহিরে,
সাঁতার কাটে জলের উপর, তাই না দেখে ব্যাং মামা
জানের ভয়ে ছুটতে থাকে ব্যাং মামা স্বর্পের মুখে ।


আমি একা ঘরে বসে কাণ্ড-কারখানা দেখতে থাকি
মনের ভুলে অসাবধান হলে আমার দসা একই হবে।