সমাজে আমাকে নোংরা, বেহায়া, অস্বতী বলে ঘৃর্ণা করে !
করবেই তো ! আমি তো নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়ে, খদ্দের ধরে
সময় কাটাই পয়সা কামায়, বেঁচে থাকার তাগিদে।


আমি তখন কলেজে পড়ি এইচ এসসি প্রথম বর্ষ, ছাত্রী
হিসাবে খারাপ ছিলাম না। বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল তাদের
মেয়ে ডাক্তার হবে! লেখাপড়া চলছিল ঠিক মতই, কলেজে
জয়ন্ত আমার সাথে পড়ত, সুদর্শন, ইস্মার্ট লেখা পড়ায় ভাল।


আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা এত বেশী গাঢ় হয়েছিল যে, জয়ন্তর
কথা মত আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। একে অপরকে
ছাড়া থাকাতে পারছিলাম না। বই খুললেই জয়ন্তর চেহারা
ভেসে আসে চোখের সামনে!


কথা মত বাড়ীতে কাউকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে বেরিয়ে
পড়লাম। জয়ন্তর কথা মত নিদ্রিষ্ট গাছের তলায় এসে অপেক্ষার
প্রহর গুনছি, কিন্ত জয়ন্ত আর এলো না! রাতের জানোয়ার গুলো
দল বেঁধে সর্বস্ব হরণ করলো আমার।


লজ্জায়, ঘৃর্ণায়, অভিমানে নিজেকে হত্যা করতে চেয়ে ছিলাম,
কিন্ত পারিনি। ভাল মানুষ সেজে আমাকে বিক্রি করে দেয়া হলো
নিষিদ্ধ পল্লীতে। সেই থেকে এ জগতের বাসিন্দা আমি। প্রতিদিন
নরক যন্ত্রনা সাথে নিয়ে বেঁচে আছি, না বাঁচার মত।


(এ ভাবে আর কত জন ধোকা খাবে! নাম গুলো কাল্পোনিক, ঘটনার সাথে মিলানো হয়েছে।)