গভীর রাতে শিয়ালের ডাক কানে ভেসে আসে
ভরা পূর্ণিমায় আমার গ্রাম উঁকি মেরে হাসে
নাকে নোলক কানে পাশা গাঁয়ের বঁধু র ছোট আশা!
কাজ শেষে স্বামী কখন ফিরবে বাড়ী!খাবে উঠানে বসে
শিথানে বসে পাথার বাতাস সাথে হাতে পানের খিলি
রাতের বেলায় প্রেমের জোয়ার ভালবাসায় জড়াজড়ি
বি-হান বেলা পানতা খেয়ে লাঙ্গল নিয়ে ছুটে।
গরুর গায়ে ছালার চাদর ভোরের কুয়াশা জুটে
বঁধু বরণের প্রাণের ছোঁয়া কল্পনায় ফিরে আসে
কত স্বপ্ন কত আশা চাওয়া-পাওয়ার মাঝে
একাকী পথ চলার সাথে মনের রাজ্য ভাসে।
খোলা আকাশ সবুজ মাঠ জমি চষে মনের আশ,
সরিষার ক্ষেত হলুদ ফুল মৌমাছিরা করে গুন গুন
দুরে থেকে ভেসে আসে কোকিলের কুহু ডাক
নদী ছুটে চলেছে আঁকা বাঁকা গ্রাম থেকে গ্রামান্ত রে !
রাজ হাঁস পাতি হাঁস নদীর জলে হেলে দুলে সাঁতার কাটে
কৃষক ফসল ফলায় মাঠে, এই তো প্রকৃত গ্রাম বাংলার রূপ,
এ যে আমার নাড়ী পুঁতা গ্রাম সেই তো আমার পরিচয়।