নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখি উথাল পাথাল ঢেউ
নদীর গর্ভে বিলিন হয়েছে মোদের ঘর বাড়ী ঐ
ভাঙ্গন শব্দ কানে, দক্ষিণা বাতাসে
জাহাজের শব্দ শুনে মাঝি মাল্লা সাবধানে।


দুরে দেখি নীল আকাশ নদীর জলে মিশে
শুশুক গুলো ডিগবাজি দেয় আমাকে দেখবে বলে,
স্রোতের টানে পিঁপড়া ভাসে খড় কুটো ধরে
বাঁচার বড় আকুতি তাদের স্রোত নাহি মনে।


সাঁঝের বেলায় কুলু কুলু ধ্বণী মেঘ ডাকে গুড় গুড়ু
বিজলী চম্‌কালে নদীর বুকে আলো জ্বেলে যায়
ঘন বরিষণ মাতোয়ারা মন ঘুর্ণী বায়ু বয়,
ফসলের মাঠে কৃষাণ হ্যাঁ কে বাড়ীর পানে ধায়।


যমুনার তীরে মানুষের বাস বর্ষায় ভাঙ্গনের সুর
বানের পানি ভাসিয়ে নিয়ে যায় ফসলের মাঠ
নদীর পানিতে মিশে যায় কৃষকের চোখের জল,
পাড়ের মানুষ নিঃস্ব রিক্ত হয়ে পথে পথে ঘুরে
সান্ত্বনা দেয়ার কেউ নাই।


মাস ঘুরে বছর আসে, আসে ভাঙ্গনের মাস
নদীর এ কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে এই তো নদীর খেলা
তবুও মানুষ নদীর ধারে আশায় বুক বাঁধে,
দ্যাখে নদীর খেলা।