মানুষ রূপী অমানুষদের কাছে রেফ হলো আনন্দের আর মজার,
নিজেদের মধ্যে কুৎসিত আলোচনা করে  
উপভোগ্য উল্লাসে ফেঁটে পড়ে!

উভয়ের মৌন-সম্মতি ছাড়া দৈহিক মিলনই রেফ !
নরের গায়ে কলংকের দাগ থাকেনা
কিন্তু নারীর অবস্থা কি হয় কেউ ভাবে না।

ধর্ষিতা নিজের শরীরের প্রতি ঘৃণা জন্মায়
ঘিন ঘিন করে উঠে গা, বীভৎস ঘটনা চোখে ভাসে,
আতংক তাকে সারাক্ষণ কুরে কুরে খায়,
চক্ষু লজ্জায়, সমাজের ভয়ে নিভৃতে কাঁদে !

শকুনের দলে চক্ষু লজ্জা, সমাজের ভয় স্পর্শ করে না,
ধর্ষিতা বিচারের আশায় আইনের কাছে গেলে ও,
প্রশাসনের লোকের কথায় ওরাল রেফ হয়
আবার সুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত হয়।

মা বিয়ের পর বাবার কাছে কখনো কখনো রেফ হয়েছে!
আবার আমার বোন বরের কাছে ও কখনো রেফ হয়েছে
কিন্তু কোন আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি!
মা ও বোন তাদের মাফ করে দিয়েছে বৈবাহিক কারণে!

ইলেকট্রনিক্‌স মিডিয়া, খবরের কাগজ, গনমাধ্যম ফলাও
করে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে জন সম্মুখে তারা একবার
ও ভাবে না ধর্ষিতার কি অবস্থা! ধর্ষণের সময় আতংক, ঘৃণা,
লজ্জা আর গনমাধ্যমে প্রকাশ একই ধরনের ধর্ষণ!

এই জঘন্য, নারকীয় অবস্থা থেকে সমাজ কবে মুক্তি পাবে
আমরা জানি না! তবে অমানুষ গুলোকে ঘৃণা করি আর
সঠিক বিচার চাই, ধর্ষিতা নারীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে
আসার আহ্বান জানাই, পাপ তো শকুনের দল করেছে!
ধর্ষিতা নয়।