সখিনার মা ছাগল পালে একটা দু’টা করে
নিত্ত দিন ঘাস খাওয়ায় রহিমুদ্দিনের ভুঁইয়ে
রহিমুদ্দিন পাঁজি লোক, পড়ার লোক জানে
সকিনার মাকে মনে ধরে পাঁজি লোকের মনে,


সুযোগ খুঁজে বার বার, তর সয়না মনে, ঝোপ  
বুঝে কোপ মারে, অকাম করে দিনে !
লোক লজ্জার ভয়ে গোপন করে সে, সখিনার
মার মন ভার, বলতে পারে না কষ্ট তার ।


বর্ষাকালে অতি বৃষ্টি, ক্ষুধার জ্বালায় অনাসৃষ্টি
সখিনার মার মনে ফুর্তি, ছাগল হয়েছে পুয়াতি
ছাগল নিয়ে স্বপ্ন চোখে বাচ্চা হলে অভাব ঘুচে ।


সখিনার মার দাঁড়িয়ে পিছে, রহিমুদ্দিন বলবে কিযে,
বাঁকা চোখে তাকিয়ে দ্যাখে রহিমুদ্দিনের মাথা নীচে,
বলার সাহস হয়ে উঠে না, পাশ দিয়ে যায় সখিনার মা,
অল্প বয়সে বিদবা হয়েছে, পাঁজি লোকের মনে ধরেছে ।


পুরাতন কথা মনে পড়ে, ঘৃনার চোখে তাকিয়ে দেখে
না ছোড় বান্দা রহিমুদ্দিন, পিছু হাঁটে নিত্য দিন ।
ছাগলের হলো তিন বাচ্চা, দুইটা পাঁঠি একট পাঁঠা
সকাল বিকাল ছাগল চরায়, মনে মনে বুদ্ধি পাকায় !


বাচ্চা গুলো বড় হবে, নতুন করে বাচ্চা দিবে ।
ছাগল বেঁচে গাভী কিনবে, মনে স্বপ্ন ফার্ম করবে
সখিনার মা ধনী লোক, সবাই মানে পড়ার লোক।


রহিমুদ্দিনের ভাগ্যে শনি, জমি ব্যাচে কিনছে উনি
সংসারের বেহাল অবস্থা, ভাগ্য ঘুরে উল্টা রাস্তা।


নোটঃ গ্রামীন প্রেক্ষাপট রুপকের আদলে লেখার চেষ্টা!