খাতা কলম নিয়ে বসে আছি,কি লিখব ভেবে পাচ্ছি না
যে ছেড়ে দিয়েছে জানার বা শেখার অভ্যাস,
তার বয়স কুড়ি কিংবা আশি হউক মূলত সে বুড়ো,
আর জানার বা শেখার ইচ্ছে আছে, সেই তরুণ !


স্মৃতির আয়না থেকে, দেশে  ১৯৮২ হতে
১৯৯০ সালে স্বৈর-শাসন বিরোধী আন্দোলন,
যারা জীবন দিয়েছিল, যারা জেল জুলুম হুলিয়া
মাথায় নিয়ে আন্দোলন করেছিল, আবার
যারা পঙ্গুত্বের অভিশাপে এখনও বেঁচে আছে
তাদের লাল সালাম।


নুর-হোসেনের’র মৃত্যুর স্মৃতি এখনও চোখে ভাসে,
৯০’র আন্দোলনে বিজয়ের পর, কালো তালিকা
ভুক্ত লোক গুলো বহাল তবিয়তে ক্ষমতায়,
যে মা তার সন্তানকে হারিয়েছে,যে বোনকে হারিয়েছে,
যে তার স্বামীকে হারিয়েছে, যে ছেলে তার বাবাকে
হারিয়েছে, তারা ঐ একই তীরে রয়ে গেছে !


বাঙ্গালী বড় আবেগ প্রবণ জীবন দিতে পারে
আবার নিতে ও পারে, দু’বার ভাবে না,
স্বৈরাচারে র দল এখন ক্ষমতার অংশ, স্বাধীনতার
নেতৃত্ব দানকারী দলের সাথে, আন্দোলন চলাকালীন
যারা জীবন দিয়েছে, যারা পঙ্গুত্ব বরন করেছে, যাদের
শিক্ষা জীবন দু’বছর পিছিয়েছে শুধু তারাই ভুক্ত ভোগী
তাদের ঘাড়ে পা দিয়ে ক্ষমতায় আসীন,


আমি সেই সময় সদ্য কলেজ পড়ুয়া টগ বগে যুবক,
বাম ধারার রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কোন এক জেলার
প্রেসিডেন্ট, তাইতো কষ্ট টা একটু বেশী, আমার সন্তান
আমাকে প্রশ্ন করে, আমি মুখ লুকিয়ে থাকি !


দেশে যেমন স্বাধীনতার শত্রু রাজাকার, আলবদর,
আল-সামশস্ আছে, তেমনি নব্য রূপে রাজাকার,
লুটেরা ধনীক শ্রেণী দেশের সম্পদ কুক্ষি গত করছে
আবার বিদেশে পাচার ও করছে, তাদের রুখতে আরো
একটি সংগঠিত আন্দোলন দরকার !