পুর্ণিমার চাঁদে লুকিয়ে রাখা মন দ্বি-প্রহরের রাতে জেগে থাকে তথন
তোমার রূপে চাঁদের লজ্জা মেঘে ঢাকে মুখ !
আড়াল থেকে গোপন দেখা তুমি বিদ্যাসাগর
হৃদয়ের অনুভুতি মনের অসংখ্য জানালা খোলা !


ধর্মের কু-সংস্কার, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, পান্ডিত্যের ভাড়ামি ছিল না তার
মায়ের ডোকে বিপদ জেনেও নদী সাঁতরে আসে সেবায়
বিশ্ব-ব্র্যমান্ডে আগমন তার মায়ের গর্ভে, উপেক্ষা করা মহাপাপ!
জ্ঞানের পরিধি নদীর মতন, যুক্তি বিদ্যায় ক্ষুরধার জ্ঞান!
সমাজের কাছে দায়বদ্ধতা ছিল তার অবনত শীর ।


তৎকালীন পন্ডিত ব্যক্তি, সমাজ সেবক, ব্রিটিশ বুজুর্গ ব্যক্তি
ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের যুক্তিকে পরাস্ত করা সহজ কর্ম নয় !
হরহামেশায় ধর্মবাদীরা পেশিশক্তি, পথে ঘাটে অপমান অপদস্থ্য করত
তবুও নারীবিদ্যা, নারিমুক্তি, বিধবা বিবাহ থেকে এতটুকু পিছ পা হয়নি !


বঙ্কিম চন্দ্র বিষবৃক্ষ উপন্যাসে সুর্যমুখীর চবিত্রের মধ্যে দিয়ে লিখেছিলেন
বিধবাদের বিবাহ দেয়ার জন্য ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বলেছিলেন
“ সে যদি পন্ডিত হয় তবে মূর্খ কারা”  আবার.............


রবি ঠাকুর বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর সময় বলেছিলেন, আবাক করা বিষয়
“ভগবান কি করে চার কোটি বাঙ্গালীর মধ্যে একটি মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন”
ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর শুধু পন্ডিত ব্যক্তি নয়, তিনি সমাজের আলোক বর্তিকা।  
                      
                            (ইতিহাস থেকে নেয়া)