বিবাহ করিবো, যদি এমন বউ পাই
যে বউ রাগ করিলে তাহাকে আদর করিতে
মন চাইবে, আমি বাহির থেকে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি
ফিরিলে তাহার আঁচল দিয়া আমার কপালের ঘাম
মুছিয়া দিবে,গরম গরম ভাত, কই মাছের সালুন
আর শিং মাছের ঝোল রাঁধিয়া বলিবে- এই...
খাইতে আসো না...
শীতল পাটিতে খাইতে বসিলে সে আমাকে
তাল পাতার পাখা দিয়া বাতাস করিবে,
আমি তাহার দিকে ফেল ফেল করিয়া তাকাইয়া
থাকিবো, সে লজ্জা পাইয়া মাথার ঘুমটাখানা আর
ইকটু টানিয়া অস্থির কন্ঠে বলিবে- কি হইলো?
আমি বলিবো নাহ কিচ্ছু না তো। শরতের দুপুর,
দুইচালা সনের ঘড়ের ঢালু বাড়ান্দায় শীতল পাটিতে
বসিয়া
বউয়ের মিষ্টি মুখ দেখিতে দেখিতে ভাত খাওয়ার
স্বাদ...আহ...
শরতের আকাশ আমার খুব পছন্দ।
রাইতের বেলায় আমার চাঁন্দডারে লইয়া
গাঙের ধারে মাচায় গিয়া বসবো। চারদিক জুইরা
কাশফুল দেইখা সে খুশি হইয়া উঠবো, বলবে-
এই দেহ দেহ কত্বগুলান কাশফুল! আমি বলিবো-
উপর দিকে চাইয়া দেহ, চাঁন্দডা ক্যামনে
ড্যাব ড্যাব কইরা তোমার দিকে চাইয়া রইছে।
সে অবাক হইয়া
চাঁন্দের দিকে তাকাইতে গেলে আমি বলিবো-
দেখছো, ওই ধলা বুড়িডা তোমারে হিংসা করতাছে,
তুমি যে হের চেয়ে ঢের সুন্দর তাই।
অম্নি সে খিল খিল করে হাসিয়া উঠবে। ওই হাসির
এমন রিনিঝিনি সুর যে রাইতের জ্যোৎস্না,
ঝি ঝি পোকার ডাক, নদীর ঢেউয়ের গান সব হার
মানবে। আমি আবেগী হইয়া ওরে আরো আপন
করে জড়াইয়া ধরিবো।
সে আমার বাহুর বাধনে বসিয়া কুটুর কুটুর করিয়া
কত কথা বলিবে, আমি সুধু হারাইইয়া যাইবো,
যানিনা কোথায়।
যখন রাত গভীর হইবো, স্বপ্নের জাল বুনিয়া ক্লান্ত
হইয়া যাবো, তখন ঘড়ে ফিরিয়া আসিবো।
ছোট্ট একটা খাটে দুজন জড়াজড়ি দিয়ে শুবো।
আমার বুকে মাথা রাখিয়া বউটা শুবে,
আমি আরো নিবীর করে ওরে জড়াইয়া রাখবো।
সনের ঘড়ের ফুটা চাল দিয়া আকাশ দেখিবো,
ঝাকে ঝাকে স্বপন দুইচোখ জুইড়া ভীর করিবে,
এই স্বপন যেন শেষ হইতে চাইবে না,
আমাকেও ঘুমাইতে দিবে না...