মাঝ রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায়,
অন্ধকারে ইকটু থিতু হয়ে অনুভব করি
বুকের ভেতর তীব্র যন্ত্রণা।
চোখদুটো প্রসারিত করে দেখতে চেষ্টা করি,
পারি না, দৃষ্টি আটকে যায় অন্ধকারের দেয়ালে;
যন্ত্রণাটা বাড়তে থাকে, ছড়িয়ে পরে সমগ্র অস্তিত্বে।
অচ্ছন্নের মতো হাতরে বেড়াই আমার চারপাশে,
যদি কোন আশ্রয় পাই, ইকটু সহানুভূতি।
অনেকটা সময় পেড়িয়ে যায়
কিছুই ঘটে না, শুধু আমার যন্ত্রণা বৃদ্ধি ছাড়া,
আমি সেই অন্ধকার কারাগারে
আগের মতই যন্ত্রণা কাতর।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমি বাস্তব আর
অবাস্তবের পার্থক্য খুঁজে বেড়াই;
মনে হয়, সবই যেন মিথ্যে;
আমি নেই, কিছুই নেই
তবু ইতর প্রাণীর মতো আশ্রয় প্রার্থনা।
ঠিক নিরেট দেয়ালের মতো ফাঁকহীন নিকষ কালো
এই অন্ধকারের জগৎটাতে আমি একা,
চারদিকের নির্জনতা আমার একাকীত্বকে
আরো ভয়ংকর করে তোলে।
আমি নিঃসঙ্গ পথিকের মতো কাতর চোখে
চেয়ে থাকি অসীম শূন্যতায়,
আমার নিঃসঙ্গ যাত্রাপানে।
চোখদুটো ছল ছল করে উঠে,
কোন এক অজানা বেদনায়।
কখনই আলো হয়ে ভাসতে পারলাম না,
বিদায়টাও বুঝি এমন নীরব অন্ধকারেই লেখা ছিলো!
সাক্ষী রইলো শুধু রাতের ভেজা কুয়াশা
আর জালনার ওপাশের শিউলি-ফুলগুলো।
যাক ভালই হলো, বেশ ভালো হলো;
“বুনোহাঁসের” বিদায়-তো এমন আধারেই হওয়ার ছিলো!