"দুঃসময়ের বন্ধু এলেন গিন্সবার্গ"
-বোরহান উদ্দিন মিল্টন


আগুন ঝড়া দুঃসময়ের বন্ধু মোদের
৭১-এর তপ্ত লাভায় নিমজ্জিত সোনার বাংলায়
জেগেছিলে তুমি ধুমকেতু হয়ে
তুলেছিলে তুমি কবিতার ভূবনে দ্রোহের ঝংকার
স্তব্ধ করেছিলে ত্রাসের হুংকার
গুড়িয়ে দিয়েছিলে জালিমের বাংকার
কবিতার মাঝে দুর্ণিবার,
তাই ছালাম তোমায় হাজার বার
মার্কিন কবি এলেন গিন্সবার্গ -
তুমি বাংলার সবার।
বাংলায় সেদিন বড়ই দুর্দিন, চারিদিকে দুঃখভরা,
পিতা হারা, ভাই হারা, বিধবা মা সন্তানহারা,
লাঞ্চিতা বোন সম্ভ্রম হারা, ক্ষত-বিক্ষত বধুর অশ্রুধারা,
লক্ষ লক্ষ বাস্তুহারা, পাখির মত মানুষ মারা-
এসবকিছুর প্রতিবাদে লেখনি তোমার গর্জে উঠে
ফুটে উঠে বিশ্ব পটে -আতংকের এক ভয়াল দৃশ্য
যাহা ছিল অবিশ্বাস্য!
এলেন গিন্সবার্গ তোমার লেখা কবিতা- "সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড "-এর মান
পেয়েছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যের সম্মান
আর বাংলা পেয়েছে মানুষের মমতা, সহানুভূতি ও সমর্থন
যা থেকে মোরা ভেঙ্গেছি পরাধীনতার বন্ধন
মাথা উচু করে দাড়িয়েছি, হয়েছি স্বাধীন সত্বায় উত্তরণ।
তোমার লেখা "মিলিয়ন অব সোল'স, এ মিলিয়নস আর ডেড,
হোমলেস আন্ডার গ্রে সান" আরও শত কবিতায়
বাঙ্গালীর দুঃখ বেদনা সেদিন সযতনে স্থান পায়,
আমাদের হাতে ছিল অস্ত্র, তোমার হাতে কলম
আজ আমরা স্বাধীন জাতি, তুমি লহ মোদের ছালাম।
তুমি মহান, তোমারই মহিমায়
আগামীর পথে চলিলাম।
স্বাধীনতার এই মহান মাসের শেষ ক্ষনে
তোমার অবদান অম্লান আজ সবার মনে,
বিরামহীন সার্বজনীনতায় তুমি সোচ্চার
তোমারই লেখনির ছোঁয়ায় ধরা দেয় মানুষের অধিকার।
মহাকালের পাতায় পাতায় স্বর্ণ সূতোয় গাঁথিব মালা থরে থরে,
বাজিবে যে সপ্ত সানাই তোমার তরে,
বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে।