মাঝরাতে কবিতা লিখতে বসেছিলাম ।
ভেবেছিলাম কবিতার মধ্যে কবিতা হয়ে তুমি আসবে,
কিন্তু ওই যে দুপুরবেলায় দেখা সেই ছেলেটা ...
হাড় বার করা, জীর্ণ শীর্ণ সেই চেহারা, কি যেন নাম ...
আমার কবিতার মধ্যে বার বার এসে বলতে লাগল
‘বাবু দুইটা পইসা দ্যান মুড়ি খামু’।


আমি বললাম ‘দুত্তোর, ভিক্ষে চাওয়ার আর সময় পেলি নে ?
এখন নয় পরে আসিস, এখন আমি কবিতা লিখছি ।
হুঁ হুঁ বাবা, যেমন তেমন কবিতা নয়,
কবিতার মধ্যে কবিতা, যেমন ঘরের মধ্যে ঘর,
মেঘের মধ্যে মেঘ, বৃষ্টির মধ্যে বৃষ্টি ।‘


ছেলেটার চোখ চকচক করে উঠল,
বলল ‘বৃষ্টির মধ্যে বৃষ্টি নামাইতে পারবান বাবু ?
তা হইলে আমার পয়সার দরকার নাই ।
ভাল ফসল হইব, বুড়া বাপের লগে খ্যাতে কাম করুম ।
দিদির বিয়াটা দিতে পারব বাপে আমার ।
দিদির আমার বড় কষ্ট । পরাণদার হাতেও কাম নাই আজকাল ।
পারবেন বৃষ্টির মধ্যে বৃষ্টি নামাইতে আপনে ?’


তোমাকে তাই কবিতা লেখা হয়ে উঠল না রুমা ।
আমি আগে বৃষ্টির মধ্যে বৃষ্টি নামাই,
কি যেন ছাই নাম প্যাংলা ছেলেটার
ওর দিদির সুখের সংসার বসুক পরাণের ঘরে ।
ওদের খুশিতেই লেখা হবে কবিতার মধ্যে কবিতা
তোমার জন্য কবিতা ।