পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ বাসরে হেঁ হেঁ করে গেলে শালা তুমি।  
কি ভাবলে তুমি ? কৃতার্থ হলেন সকলে ?
মুখে হাসি, মনে মনে,
পিতৃদেবের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ কাঁটা ছেঁড়া করল সবাই,
এদিকে যে ফোঁকরটা গলে মুখোশেরা হাপিস !
এতোদিন বাবার ছাতাটা মাথায় ধরা ছিল,
কাল চেনামুখ প্রশ্ন করে বসে যদি, কে হে তুমি,
জবাবটা কি দেবে ?
তার চেয়ে চল খুঁজে বা্র করা যাক,
বেহালা বাজাতো যে লোকটা তার নাম, ধাম, গোত্র পরিচয় ।
মনে আছে একদিন সে তোমায় বলেছিল
‘বৎস এঁচোড়ে পক্ক, বড় হয়ে বুঝবে তোমার
বাপখানা কিরকম হাড়বজ্জাত ছিল ।
তখন মাখন নিতে এস একবার।’
তো কি বলেন ভাইগ্না আমার,
গা খান ম্যাজ ম্যাজ করে নাকি ?
তা হইলে যাই একবার মাখনের খোঁজ করি ।  
প্রশ্ন হইল লোকটারে অখন পাই দ্যাহি কোথায় ।


আসলে লোকটা জানত ঠিকই,
তোমার পিতামশাই পরনারী ইত্যাদিতে রুচি রাখতেন
খানিক টা বেশিই । বাড়িতে অসুস্থ তোমার মা ... বুঝেছ তো
মাখনের যোগান হতো ঠিকঠাক । আর তোমার মা ?
বেচারীর কাজই ছিল রোজ স্বামীর রুটিতে মাখন লাগানো ।
তা চরিত্রবান বাপখানি তোমার তো স্বর্গগত হলেন ... বেশ বেশ ।  
বাপধন আমার, বল দেখি ফ্রিজে রাখা তাল তাল মাখনের
এখন কি হবে উপায় ?
ওগুলোতো  স্টেরলাইজ করা হয় নি কোনোদিন !
বেহালা বাজিয়ে বুড়োটা যদি বেঁকে বসে অথবা বানপ্রস্থে চলে গিয়ে থাকে ?
চল তবু একবার খোঁজ নিয়ে দেখি ।