কোথাও কোথাও অতিরঞ্জিত সন্ধ্যাতারা
কুশলতার আশাতিরিক্ত আলোর দ্যুতি বিলাচ্ছে;  
কোথাও আবার জয়োল্লাসের চড়া সুরে বুক দুরু দুরু কাঁপছে,
এদিকে আমি বুদবুদ ওঠা ভগ্নস্বরে–
দাঁড়িয়ে আছি মহাজাগতিক সমুদ্রের বেলাভূমিতে
সুভাষিত সারাংশের দূরবীন হাতে নিয়ে...
মন ভরে দেখবো রাতভর হ্যালির ধূমকেতু!
বাঁধনহারা কল্পনার ছায়ায় ভরে উঠবে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ছায়াপথ;
শিরশির করে জড়িয়ে আসবে মেরুদণ্ডের কণ্ঠস্বর
খেয়াতরীর তূর্যনিনাদ বাজবে কানে রাতভর ।


ভোরের আকাশে ধূলিকণার মতো ভাসবে অসীম বিস্ময়!
ঈষৎ আর্দ্র পদাঙ্গুলি সিক্ত হতে পারে গোড়ালি অবধি
মহাসমুদ্রের জলরাশির নিষ্কাম আহ্বানে...
তবু যদি হয় জয়, বিসর্জন দিয়ে ভয়
আলোকরশ্মির যাওয়া আসায়, হলে হোক দেয়ালের ক্ষয়!  
না হলে জানবো কি করে, দু’ কোটি বছর আগে রওনা হওয়া
তারার আলো, আজ দেখছি মন ভরে এ উঠোনে দাঁড়িয়ে;    
এতদিনে তারা আদৌ আছে, নাকি গেছে কালের বিবর্তে হারিয়ে ?  
কৌতূহলের পতাকা উড়াতে নীহারিকাদের দূর শহরে
রঞ্জনাকার্য গুড়াতে, সারারাত ধরে ...  
চেয়ে থাকা দূর নক্ষত্র পানে দূরবীন হাতে নিয়ে ।  


                                              
                                                  ( চলবে )