এত অস্থির এত উচাটন এত অন্যমনস্ক এত বিচলন--
ভাবনাকে সংহত করো, ছেড়ে যাইনি আমরা একে অন্যকে,
দু:সময় আসে আসুক, হয়তো একশো বছরে একবারই আসে,
স্থিতধী থাকার সংকল্প নাও,ভালোবাসা কিছু তো চায় !


যখন অরণ্যে আগুন লেগেছিল, প্রাণ ভয়ে প্রাণীরা ছুটেছিল
আজ মানুষের শরীরে বিষ, তাই দম বন্ধ হয়ে আসে মৃত্যুযন্ত্রণায় --
সরে গেলে তবু এলোমেলো চিন্তা, পারলে সকালের আকাশটা দেখো
কোনো আগুনের গোলা নামেনি এখনো সবুজ ঘাসের বুকে, ইতিউতি গঙ্গাফড়িং এখানেও পেয়ে যাবে,  
--আমাদের না কথা ছিল একসাথে হেঁটে আসার!


গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে সূর্যের আলো,
কান পাতো, প্রস্রবণ আছেই কাছে কোথাও!
আত্মশুদ্ধির পর নাগরিক মনের কাছে নিরালা বেশি শ্রেয়, নির্বাক মানুষের শত্রু নেই, দু:সময়ও বড়ো একটা কাছে ঘেঁষে না, তাহলে ওই কথাই থাকুক, নীরবে অরণ্যে পথ হারাবার।
প্রস্রবণের শব্দ, অচেনা ঘাসের গন্ধ, তৃণে ঢাকা পথ বেয়ে দ্রুতগামী জীব নিমেষে অদৃশ্য হয়ে যায়,আমরাও মিশে যাবো মুহূর্তে।
গাছগাছালি, বনবাদাড়, গিরগিটি, নির্জন দুপুরভেদী পাখির কলস্বন জড়িয়ে থাক, স্থিত, শান্তিময় অরণ্যজীবনে --
ভালোবাসা কিছু তো চায় বটেই ।