বিষ্ময় কাটেনি তখনও
এত সকালে এ কিসের আয়োজন,
কেন সবাই এসেছে হাসিমুখে?
বাক প্রায় হারিয়ে নব্বইয়ের দোরগোড়ায়
তিনি আজও কারণ খুঁজছেন, মৌনতায়।

হাতে একটা বই, তুলে দিল কনিষ্ঠ নাতি
ভাঙা দেউলের দেবতা
লাইনটা বড় চেনা। লিখেছিলেন কোনও কালে
যখন বুকের বেদনাগুলি অশ্রু নয়
অক্ষর হয়ে জন্ম নিত লুকনো খাতায়

সন্তানেরা নব্বইয়ের প্রান্তে এসে তুলে দিয়েছে
বেদনার অক্ষরমালা, সযত্নে বাঁধা দুই মলাটে
স্মিত হাসি আজ ভুলিয়ে দিচ্ছে
যাবতীয় দুঃখ, ক্লেদ, যন্ত্রণার ব্যথা।

আজ কলম আর কথা বলে না
ব্যাথার উপলব্ধি শুধু শরীরি বয়সেই
ভাঙা দেউল আর গড়া হয় না।
দেবতা তো কবেই চলে গেছেন সব রেখে।

শুধু অক্ষরের মালা থেকে গেল
আগামীর দলিলের পাতায়