চোখের কাজলের নিচে আরও কিছু কথা লেখা ছিলো
মাটির গভীর থেকে যেমন মাথা তোলে চারা
নিভে যাওয়া ছাই থেকে ঊড়ে যায় পাখি
বেদনার সন্তানেরা চুপি চুপি কথা বলে যায়৷


ঊড়ে আসা পাখির পালকে ভয় করে
হয়ত বা তির এসে বিঁধেছিল তাকে!
ছেঁড়া পালকেরা সেকথাই কি বলে গেল?
না কি, কোনও রক্তাক্ত পালকের গায়ে
লেখা মৃত্যুর তারিখ মুছে গেছে
সময়ের ক্লিন্ন হাতে রোদ-জল-ঝড়ে


জল পড়ে, পাতা নড়ে, বাতাসে খড়ের চালও
যে মানুষটি চলে গেছে অন্য কোনওখানে
অন্য কোনও রাঙা টুকটুকে সূর্যসন্ধানে
“ঘরে তার প্রিয়া একা শয্যায় জাগে”
কাজলে ঢেকে রাখে রাত-জাগা কালি


তার আড়ালে বুঝি
কিছু না-বলা কথা
চাপা পড়েছিল…