(জানুয়ারিতে বাংলাদেশ গিয়েছিলাম নদীজল বন্টন ও সমস্যা বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। ফেরার সময় মধুমতীকে দেখে, দুই বাংলা নদীগুলির হাল দেখে কান্না আসে।)
------------------------------------------------
আঁকাবাঁকা চলে গেছে নষ্ট জলরেখা
কচুরিপানার দাম তিরপুণ্যির ঝাঁজি
শকুনের ঠোঁট ভাসমান কুকুরের লাশ
মৃত্যুর দিন গোনে ধারা পূণ্যতোয়া


বুকের উপর দিয়ে আভোর নিশুতি
সাঁইসাঁই ছুটে যায় মালবাহী ট্রাক
যাত্রী নিয়ে বাস, টেম্পো, ম্যাটাডোর
বাণিজ্যের রথচক্রে পিষ্ট মধুমতী


স্রোতস্বী বুক বেয়ে সেই কবে থেকে
বয়ে নিয়ে গেছে শুধু সভ্যতার পাপ
শ্মশানের ছাই আর ভাসান-প্রতিমা
তারা সব শুনিয়েছে বিদায়ের বাঁশি


বাঁশির করুণ সুরে লীন সরসের ক্ষেত
মধুমতী কোনওদিন আর ছোবে না ফসল,
নামাজের মাঠ কিংবা নিকোন উঠোন
তার বুকে বাসা বাঁধে বালি রাশি রাশি


কবোতাক্ষ, ধলেশ্বরী, করতোয়া যায়
তিতাসের পথে। এই কি নিয়তি!


ভগীরথ নিয়ে এসো নব জলধারা
বাজুক কালশঙ্খ, আনো প্রলয়ের কাল
নষ্ট জলরেখা হোক সুজলা আবার
মরুধারা ফিরে পাক জীবনের মানে।