(খাতায় কলমে এটি হতে পারত ১০০ তম কবিতা। কিন্তু না। আরো একটা বাকি। তাই এবার গদ্য-গন্ধী পদ্য। পরেরটা হবে ১০০ তম। বন্ধুরা শুভেচ্ছা জানিও না দয়া করে...)
------------------------------------------------
ঘন রাতের ভ্রমরকালো কাজল ঢেকে রেখেছে স্বপ্নের মুখ। রানি মৌমাছির ঘরে কে কে আছেন, খোঁজ রাখেনা নিদ্রালসা মৌমাছিরা। শিশির থেকে মধুর সঞ্চয়ে ভাণ্ডার ভরিয়ে তুলছে ফুলেরা, ভোর হবে বলে। এখন কি সুসময়, না দুঃসময়, কে জানে? পথের সরলতা বেশ স্পষ্ট। কোথায় বাঁক আর কোথায় ফাঁক, ঢেকেছে জামরঙা রাত।


তন্দ্রাহীন মেয়ে জানে না ভোর সত্যি আসবে কি না। শরীরে গেঁথে আছে পাচ-পাঁচটা শিশ্ন... যীশুর মাথার কাঁটার মুকুটের মত। কাটার মুকুট তাঁকে মহান করেছে। শিশ্ন-সমাবেশ ক্ষতবিক্ষত করেছে পথের মেয়েকে। শরীরের রক্ত চুইয়ে পথের ধুলোয়... মধুক্ষরণের নয় কাব্য, মধুহরণের গদ্য। ভ্রমরকালো রাত তাঁকে কোনও আড়াল দেয়নি, ফুটপাথ তাঁকে ঘর দেয় নি। পথের সরলতা নয়, মনের অন্ধ চোরাগলি টেনে নিচ্ছে... অবধারিত মৃত্যু। ভোর হবে কি...


তবু তো রাত জাগে। কোন কোনও মায়ার হাত না-ঘুমিয়ে জেগে থাকে ... হাত বাড়ায়...কেউ এসে হাসপাতালের বেড চেনায়... মিছিল হয়... আরেকটা কামদুনি হতে হতে বেঁচে যায়। পথের পাশে না ঘুমোনো ভিখারিটা পরদিন পথেই হারায়। মৌসুমী ভৌমিক গান গায়, “আলোর নিচে ঘুমিয়ে আছে কে? ওরা ফুটপাথের মেয়ে...”