(মনোরঞ্জন ব্যাপারীর একটি গল্প পড়ার পর)


কপাল থেকে ঘামের কয়েক ফোঁটা মুছে
সে এগিয়ে এল মন্দিরের দরজার দিকে


পাথরের দেবতার মন্দিরে কত মানুষের দান, ভক্তির
আতিশয্যে কোনও কোনও রাতে রক্তের বন্যা বয়ে যায়
আর হাতে হাতে ঝুলে বাড়ি বাড়ি চলে যায় বলির পশুরা
দুপুরে খাবার প্লেটে ঝরে পরে ঝোল সহ মাংস হয়ে


মন্দিরের ব্যাঙ্ক ব্যালান্সে স্থানীয় ব্যাঙ্কের গ্রেড বাড়ে
সেবায়েতদের স্বাস্থ্য নিয়ে যমেরও ভাবনা থাকে না
আর বন্ধ কারখানার শ্রমিকেরা প্রতি বার দণ্ডি কাটে,
মানতের বলির পাঠার মাথা প্রসাদী বিক্রি হয়, মিল খোলে না


সে হেঁটে গেল ঘাম-জবজবে দেহে ধুলোমাখা পায়ে
সেই মন্দিরের দিকে নির্লিপ্ত ভঙ্গীতে দৃপ্ত পায়ে
পুজারী দাঁড়িয়ে গেটে পাহাড়ায়, পবিত্র এ-মন্দিরে
এই প্রাকৃত জনের প্রবেশ নিষেধ। রুখতেই হবে তাঁকে।


তব্য সে আসছে… আসছে… অনাদিকাল থেকে
আজও আসছে… আসবে ভবিষ্যতেও… যতদিন না
মিথ্যার পুরুততন্ত্র সত্যের যূপকাষ্ঠে বলি হয়ে যায়…