তোমার ভাঙা মুখের পাশে বলিরেখায়
পাথরখাদানের ধুলো চাপ চাপ বসে আছে
তোমাতে হাতের নখে এখনও চা-বাগানের মাটি
কোমরের কাছে গামছায় বাধা ফসলকাটার কাস্তে
আর সাগর সেচে মাছ ধরার সদ্যভেজা জাল


মাথার পাগড়িতে গোজা বাঁশিতে কাল রাতেই
কদমের নিচে তুমি প্রেমের আসর বসিয়েছিলে


এখন কেমন শান্ত হয়ে নিথর ঘুমে ঘুমিয়ে আছ!


এমন হলে নিরন্ন পেটে মৃত্যুই তাঁর পুরষ্কার
... ... ... ...


(সংবাদে প্রকাশ, কৃষকের আত্মহত্যা বন্ধ হয় নি। পেশাগত রোগে পাথরখাদানের মিছু মুর্মুরা মরেই যায়। চা-বাগানে অনাহারে মৃত্যুমিছিল। আমরা কেমন ভাবলেশহীন হয়ে বাঁচতে শিখেছি, তাই না?)


নবগ্রাম,
১৪ জুলাই, ২০১৪