.
.
পিয়ালশাখে কারা যেন ভিজেছিল রোদ্দুরে
.
কোন দূরে
অচেনা গানের সুরে সুরে পথ হেঁটে
ঢ্যাঙ্গা লম্বা রোগা খাটো বেঁটে
মানুষের দল
চাঁদেরও নেমেছিল যৌবনের ঢল
স্বপ্ন মাখা জ্যোৎস্নার নরম আলোয়
দিনযাপনের কথা মন্দে ভালোয়।
.
ঘামে ভেজা শরীরের প্রেম-দুঃখ-সুখ
আধপোড়া জীবনের উজ্জ্বল মুখ উৎসুক
শালবীথির নিচে আগুনের চারপাশে
ঘন হয়ে বসে
গান গায় ইমনে, টোড়ি বা মালকোষে
ঝরঝর বর্ষার বিশুদ্ধ রাগিনী
কোমরে হাত রেখে নাচে মুগ্ধ তরঙ্গিনী...
.
রাতের আকাশে সেদিনও মেঘ ভেসেছিল
হাওয়ার হাহাকার ছিল
কিছু না-পাওয়ার বেদনা বাসা বেঁধেছিল
সেই কালো ভ্রমরদের মাটিমাখা প্রাণে
মহুয়া-বকুলের ঘ্রাণে
আঁধারে মন মাতাল রাতচরা পাখীদের ডাকে
.
বুনো ফুল ফুটেছিল সেই রাতে পিয়ালের শাখে।