ছুঁড়ে দিয়েছিলে জলের ঘূর্ণি সবুজ পাতায়
ইচ্ছে-নীলের ডানায় ভাসা লাল পলাশে
কাঁচপোকারা ঘুরছে ফিরছে জলে ও ডাঙ্গায়
ঘূর্ণি ঘুরছে ঘূর্ণি নামছে উঠছে ভেসে


সবই পেলাম তোমার হাতের তৈরি খামে
একটি শালের একটি পাতায় নদীর সোহাগ
নাকের পাটায় ঈষৎ লালছে আগুন-ফুলে
সুর তুলেছে ইমন-বেহাগ-বসন্ত রাগ


যাচ্ছে ভেসে ধু-ধু মরুর তীব্র গরম
চিল-ধনেশের ঠোঁটের নিচে থমকে বিজন
টাঁড়ের পাশে মন-ইঁদারায় প্রেমেরও জল
সাঁঝ-বিকেলের কালো চোখের মৌন কুজন


পড়ল হঠাৎ আচল খসে... ভীরু চূড়া
হালকা ঠোঁটের দংশনে জোড়া রক্তপলাশ
ডাকছে সময় শালবনী গ্রাম। মরণখেলা
খেলতে হলে এইখানে হোক স্বপ্নবিলাস


জলের ঘূর্ণি সবুজ পাতায় চিল ডেকেছে
ইচ্ছে-নীলে ভাসছে শাড়ির পলাশ আঁচল
জলের গন্ধে কাঁচপোকারা মগজে ধায়
জীবন মরণ একই খেলার ভিন্ন আদল।
----------------------
শারদীয়া একদিন, ১৪১৫
©চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য