এই ভর বেলাতেও খানিকটা লেপটে আছে রোদ্দুর।
ধ্যুস শালা, খাটুনির সংসারে এত বেলা পজ্জন্ত
রোদ্দুরের সেটা থাকা মানায়? সেই কোন
ভোর ভোর ঘুমটাকে দড়িতে ঝুলিয়ে বেড়িয়েচিঁ,
এখন তো বিকেল। খিদের আগুনে নাড়ি পোড়ে
বউটয়াকে বলে গেছি মজা পুকুরে ঝাঁপ দিতে
গেঁড়ি ও গুগলির লুকোচুরি ওই জানে
তারপর বটির ধার আর চুলোর আগুনের গান যেন গায়...

এমপি সাবের দানের হুই লম্বা পাকা রাস্তায়
ঘামের দাগ ফেলে, মালিকের খিস্তিগুলো পুকুরে ধুয়ে
ফিরিচি তো ঘরে। কিন্তু খাবার তো এখনও জোটেনি
বউটাও তো ফেরেনি দেকচি এই তক
পূণ্যিমের চাঁদ এখনও রুটির মতোই বহুদূর
এখনও লেপটে আছে মরা রোদ্দুর!


একবার সূয্যি ডুবে গেলে নিরন্ন অন্ধকার
সে আঁধারে হাত না দিলি জানবেনি
ছাওয়াল না বিটি ছাওয়াল?
নাঙ্গা, না কি কাপড় পরেছে?
না পড়লেই বা কি, আঁধারে দেখার তো কেউ নেই।
নাইলে কি আর দেশ জুড়ে সব ভূখা, নাঙ্গা থাকে?


পথে দেকিচি, কারা ঝেনো বলতেছেলো ভাষার দিন।
কোন ভাষায় বললি বুঝবে প্যাট যে কান্দে,
নাড়ি যে জ্বলি যায়, আগে ফ্যান ভাত তো দিন।