আমি একটা দেশ খুঁজছি। আমার দেশ।
এই যেখানে থাকি, সেটাই কি আমার দেশ?
অনেক ভেবেও আমি ঠিক বুঝি না। জানি না
এ-জন্য তুমি আমায় দেশদ্রোহী বলবে কি না


শুনেছি, দেশের বাড়িতে সুপুরী নারকেল গাছ ছিল
পুকুরে রুই কাৎলা পুঁটি খলসেরা
হিংচে শুসনী কলমীরা দুলতো হাওয়ার দোলায়
গোয়ালে ধবলী শ্যামলীরা রোজ দুধ দিত।


এদেশে শুধু সিন্ডিকেট প্রমোটার দেখি
জমি, খনি, কারখানা বিক্রির এজেন্ট দেখি
মানুষ মারার অস্ত্র বানানোর কারিগর দেখি
ষাঁড়ের মত জন খাটানোর মালিক দেখি
শুধু স্তন-যোনিতে মেয়ে চেনার ছক দেখি
উচ্ছেদের জন্য আদিবাসীদের জন্মাতে দেখি


প্রেমের কথায় দেশের গাছপালাও নাকি
লজ্জাবতী লতা হয়ে নুয়ে পড়তো
গালে লালিমা ফুটতো, বুকের হাতুড়ির শব্দ!


এখানে টাকার হিসাবে ধর্ষিতার দাম দেখি
এখন অর্থ সম্পদের দামে সন্তান বিকোতে দেখি
বিদেশের গোলামী টানে সোনার খনি বেচতে দেখি।

আমার সেই দেশ নাকি কাঁটাতারের ওপারে
আলো যায়, হাওয়া যায়, পাখি আর প্রাণীরা যায়
কাটা ঘুড়ি উড়ে যায়, অপরাধীরাও নিশ্চিন্তে যায়
শুধু তুমি আমি যেতে গেলেই পাসপোর্ট লাগে


আমার সেই দেশটা ঠিক কত দূরে?
মাইল না মেপে হৃদয়ে হাত রেখে বলতে পারো
--- কত দূরে?
............
কোন্নগর
১৪ জুন, ২০১৬