_____ক্ষয়িঞ্চুকালে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যতটুকু আধা সিকি ভাগ


যাই ফুরিয়ে!
হর হামেসা তো নয়, শুধু ভিতরে ভিতরে
ক্ষয়ে যাওয়া পাথরের মতো নোনা ধরা পলেস্তার খসে পড়ে যে রূপে
ঘুণে ধরা কাঠের শরীর যে রূপ।


প্রহর যেমন!
গড়িয়ে সাঁঝ আঁধারে শান্ত হয় জোনাকির মায়া ডোর
ফুরিয়ে যায় আবার আসে আলোর প্রতিক্ষা শেষে।
অথচ দ্যাখো হাজার বছর ঘুরে তাবড় সেই বৃত্তেই ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাই
দগ্ধ ঘা' যন্ত্রণায় পোড়ায়;
স্বস্তি ফিরে অথচ ক্ষতের বাতুলতা ফিরে না
চমক প্রদ বসন্ত ফিরে জীবন ফিরে না
চঞ্চল পাখির পাদুকা বেলায় সমুদ্র উচ্ছ্বাস কেঁদে কেঁদে ফিরে
আমার বেলা, তুমি হারিয়ে ফেলছ
তোমার বেলা, তুমিই নিয়েছ কেরে
ক্ষয়িঞ্চুকালে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যতটুকু আধা সিকি ভাগ
জীবন বৃত্তে রইল পড়ে;
আঁড়ালে প্রকাশ্যে কত কি যে বিভেদ?
রয়ে, সয়ে, কিছু তো ওমনি রয়েই গেল থলির ভিতরে?
সময় কাল জীবন, যাপন প্রত্যহ।


যাই ফুরিয়ে!
হর হামেসা তো নয়, শুধু ভিতরে ভিতরে


আজ ১০ মাঘ ১৪২৯