একুশের দলছুট কবিতা


একুশ এলেই বিশ্ব জুড়ে
ভাষার দ্বীপ জ্বালে; হারিয়ে যাওয়া মায়ের মুখে
স্বপ্নের বুলি প্রসন্ন ত্যাজে জাগে।


কোথায় সেই রক্তের বসন?
শহীদ বেদিতে রক্তের চিহ্ন আঁকা; বার বার ফিরে
বজ্রমুঠি বিদির্ণ স্লোগানে।
চেতনা ফিরে বছর ঘুরে
কদর্য অধিকার ছুঁয়ে; অধিকারের পথে শত বাঁধা
শীর্ণ তেজে জেগে উঠে।


একুশ এলেই মর্মমূলে
[বোধের আঙিনায় মায়ার টান]; ঝরে পড়া শীর্ণ পাতায়
গহন লাগা দক্ষিণা বায়ু চেতনার গান গায়।
_____[০১]


একুশ সে তো
[মুক্তির সনদ!] রফিক, বরকত, সালাম, জব্বার,,,,,,,,,,
শহীদের রক্তে লেখা;


দিয়ে ছিল আরও মুক্তির আকড়
একাত্তরের দিশা! লক্ষ প্রাণের দামে কেনা
সবুজ লালের পতাকা।
লক্ষ মায়ের অশ্রু ভেজা
স্বাধীন সোনার দেশটি পাওয়া; একুশ সে তো
অম্লমধুর ভালোবাসা মায়ের মমতা আঁটা।


একুশ সে তো
কবিতা, গান, গল্প কথা
মায়ের কথার জাদুর চেরাগ; রূপকথার জাল বুনে
মাগো তোমার কথার জালে যাই যে ফেঁসে
তাই তো মায়ার স্বপ্ন বুনি সকাল সাঁঝে।
_______[০২]


পাতার ঝরা দিন শেষে
দক্ষিণা হাওয়া বয়; নগর জুড়ে একুশ এলো
বই মেলার গান গায়।


বট তলায় বই পার্বণ বটের ঝুড়ির গায়ে
বর্ণমালার বর্ণ ঝুলে; বাংলা একাডেমির প্রান্ত ছুঁয়ে
বই বিতানের মৌনতা মিলে।


চেতনা ফিরে গানে গানে
অমর একুশের শ্রদ্ধা ভরে; শহীদদের মনে পড়ে
[নতুন বই!] গন্ধ ভারি নতুন বইয়ে স্বপ্ন উড়ে।
_____[০৩]


১৪২৫/ মাঘ/ শীতকাল।