সন্ধ্যাবতীর সাঁঝ


--সন্ধ্যাবতীর সাঁঝ


সন্ধ্যায় বর্ষা জলের হেম মেখে
নিবির সিক্ততায় সন্ধ্যাবতী আমার! যেন নির্জিব মাধুকুরি;
পাড়ার এ বাড়ী ও বাড়ী হতে উনুন চালে ধুঁয়া উঠে সাদা ফকফকা
ঝির ঝির বৃষ্টি ফাঁকে, সাঁঝের আলো আঁধারি লুকোচুরি যেন
সন্ধ্যাবতীর মেঠো পথ কাদায় প্যাসপ্যাসে
সাঁঝ আধারে দক্ষিণ পাড়া পথে ধান বোঝাই
গরুর গাড়ি পড়েছে প্যাকে;


---যেন বেহুলার ভেলা


দিনের আলো নিভে আসে
সন্ধ্যাবতী বর্ষার জলে সিক্ত, যেন বেহুলার ভেলা
খাল পুকুর ডুবেছে, জলে থই থই পুবের মাঠে সবে আইল ডোবা জল
আগাছার অগোছালো ছোট্ট ছোট্ট ফুলগুলো, জলের ছোঁয়ায় লকলেক
সন্ধ্যাবতী এখন জোছনার সখ্যতার প্রহর গুনে
আষাঢ়ে মেঘ মোল্লার আনাগুনা সারা আকাশে
জোছনার মৌনতা ঢাকে;


----সন্ধ্যাবতীর ঘাটে


সন্ধ্যাবতীর রাত গভীরে
ব্যঙের ডাকে মাতোরা
অজানা কত কীটপঙ্গ?
রাত গভিরে হোলি খেলা।


বৃষ্টি ভেজা গোল লাগা রাতে
শ্যো শ্যো করে বাদুর উড়ে
কলার মোচায় চুপটি করে বসে
পেয়ারা গাছে পেয়ারা চিবায় উল্লাসে।


গঞ্জ হতে ফিরেছ নাও
সন্ধ্যাবতীর ঘাটে
ঝিয়েরা না কি এসেছে নাইর?
ঐ যে সুদূর ঐ গাঁওটা হতে।


-----সন্ধ্যাবতীর জলছবি উঠান


সন্ধ্যাবতীর জলছবি উঠান
জোছনা রাতে ঝকমক করে, বৃষ্টি ঝরা বাউরি বাতাস
সজনে ডাল কেঁপে উঠে।


বাঁশ ঝাঁড়ে পাতার ফাঁকে
জোছনার লুকোচুড়ি, বাঁশের ডগায় সাদা বক
দোল খায় নিরবোধি।


মেঘের ফাঁকে জোছনার ছায়া
টিপ টিপ বৃষ্টিতে কাঁপে, ঐ দেখা যায় হুতুম পেঁচা
ডোবার ধারে বসে।


সন্ধ্যাবতীর জলছবি উঠান
টোনা টুনির ডালিম তলা, পুঁই মাচায় কে এলো?
চালের টুঁইয়ে চড়ুই ঝিমায়।


১৪২৫/ আষাঢ়/বর্ষাকাল।