______আগুনে পুড়ে ফেরারি ওম


নগর জুড়ে বৈধব্য বসন এই পৌষে
কুয়াশার চাদরে ঢাকা;
কুয়াশায় পথ ভুলে তিলাঘুঘু
নগর স্থাপনায় লৌহ দণ্ডে ডেকে ডেকে সারা।


ভোরের কুয়াশার চাদর খুলতে খুলতে
বিরহী তিলা ঘুঘু স্বর পাল্টে ডাকে; আঁধার শিশির ভেজা
মৌন নিশি যেন সারা মিলে না।
জোছনার নিবির সুখ খুঁজে পায়
নিয়ন বাতির কুয়াশা ঢাকা আলোয়; তিলা ঘুঘু টা শিশির ভেজা ঠোঁট
নেতিয়ে পড়া পালকের ঝাপটায় ঘোর কাটে।


ভোরের মোহ মায়া আবেশ
নগর স্থাপনার সৌম্য সুমায়া;
তিলা ঘুঘুটার প্রাণের দোল খেলা যায়
শিশির ভেজা ঠোঁট লৌহ দণ্ডে ঘুঁষে নেয়।


========রাত
মনের তাবড় জোছনায়
কেঁদে ফিরে রাত,
স্বপ্ন ভঙ্গের বিরহী
রাত; জোছনা ভেলায় ভাসে।
রাতের সমুখ পথে আঁধার নামে
কদাচিৎ বিদ্রূপ;
মোহ মায়ার তলে
হারিয়ে যাবার পথ খুঁজে ফিরে।


আঁধারে যবে জোছনা হারায়
রাত্রি তখন বিরহী উন্মাদ;
নেশায় তন্দ্রায় ডুবে ডুবে
বৈদেহিক কালের গভীরে ডুবে
গভীর হতে গভীরে হাতরায়
মণি মাণিক্য শুধু কয়লা সম কালো;
স্বপ্ন বিবরে রাত্রি যাপন।


=====একটু ওমের জন্য
যতটুকু চেয়ে ছিলে
পেয়েছো কি তা?
আগুন পোড়ার ভয়ে গোটানো হাত দুটো
ভরেছে কি উঞ্চ হাত?


ছোঁয়ার উঞ্চ আবেশে
ডুবেছে কি আঙ্গুল?
যে আঙ্গুল চেপে ধরে বাঁচতে চেয়ে ছিল
তারে কি পড়ে মনে?


পড়ে মনে পৌষের রাত
কুয়াশার চাদরে জোছনা হাসে
ঠোঁট কাঁপা জারে একটু ওমের জন্য
নিশপিশ হাতে উঞ্চতা খুঁজে মরে।


=====যে তন্দ্রায় জেগে ছিল রাত
পোড়েয়ে মরে
দিব্বি বেঁচে থাকে সুখে;
যে তন্দ্রায় জেগে ছিল রাত
সেই রাত বেঁচে থাকে মোহে।


ক্ষয়ে গেছে কাল ক্ষয়ে যাবে মহাকাল
বিরহে পোড়া মৌন ঘর; পিলসুজে বাতিতে আঁধার ঘোর
কাটে না কাটে না প্রহর ঘন প্রহর।


মন মননে অসীম প্রান্ত
আঁধার বসনে ভরে; সীমানা নাহি মিলে রিক্ত নীলিমায়
কত কত আঁধার এ পোড়া প্রান্তর জুড়ে?


নাহি জানি নাহি শুনি
শুধুই মোহ টানে বারে বারে; এ মোহ যে স্বপ্ন ঘোর
মন প্রাণ নেচে উঠে নিত্য মোহে।


আজ ২১ পৌষ ১৪২৯