________তন্দ্রায় হেমন্ত


====ওম চাও ওম
হেমন্তের শিশির,
সে কি টলমল?
ঘাস ফুল ভিজে করে ঝলমল।


লাউ মাচায় সাদা ফুল,
সে কি দোল খায়?
হাসের ছানা জলে ডানা ঝাপটায়।


ডালিম গাছে টনাটুনির বাসা
সে কি রৌদ্র হাসে?
উঠান জুড়ে বাকবাকুম বাগ কইতোর নাচে।


কুয়াশা ঢাকা গাও গ্রাম
সে কি ধুঁয়া আর ধুঁয়া?
উত্তরের হাওয়া ক্ষেপেছে তাই ওম চাও ওম।


====ধান কেটে বাঁধে আঁটি
সোনালী ধানে বাঁধা আঁটি
ভঁইয়ের আইলে খায় লুটাপুটি; মাথল মাথায় কৃষক
সাদা দাঁতের ফাঁকে সে কি নির্মল হাসি?
সারি বেঁধে কৃষক কাস্তে হাতে
গীত গায় লখিন্দর বিরহের পালা; ধান কেটে বাঁধে আঁটি
এ যে হেমন্তের সোনা ঝরা পাটি।


উত্তরের ক্ষেপ শীতের কাঁপন
কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে কৃষকের মিষ্টি হাসি ফোটে; শিশির ভেজা আইলে পথ
সোদা মাটির গন্ধ ছোটে।


ভোরের শিশির মাখা হেমন্ত
আগারে পাগারে আকন্দ ফুল হাসে; বউ ঝিরা কুয়াশায় ডুবে
পুকুর ঘাটে বাসন কুসন মাজে।


====সোনাতন ঐ ঐকতান
সোনালী ধানে ধুলো মাখা উঠান আজ
সোদা মাটির গন্ধ ভাসে উঠুন জুড়ে
বউ ঝিরা নলক পড়া ঘোমটা মাথায়
সে কি উচ্ছ্বলতার গর্ব মাখা মুখটা জুড়ে?


সোনাতন ঐ ঐকতান এসেছে ফিরে
গাও গ্রামে আজ এসেছে আবার হেমন্ত ফিরে।
শিশির মাখা সোনালী রৌদ্র চক মকিয়ে উঠে
সোনালী ক্ষেতে সোনালী রৌদ্র ঝল মলিয়ে উঠে।


কৃষকের মাচা ভরে সোনালী ধানে
একটু সুখের রেশ সেই মুচকি হাসি টানে।
হেমন্তে হিমেল হাওয়া সজনে পাতা ঝরে
রৌদ্রে পোড়া কৃষকের মুখে স্বপ্ন শিশি হাঁসে।


====কুসুমের বিয়ে
ঐ পাড়ার ঐ কুসুমের বিয়ে
হেমন্তের শেষ গড়াইলে ধান কাটা মাড়া যবে শেষ
এমনই পাকা কথা দই পক্ষের।
নবান্ন পেরুনো
আচার অনুষ্ঠানের পারি দিয়ে হলুদ পর্বও শেষ।


সোদা মাটির গন্ধ মাখা দিন
বিয়ে বলে কথা; বর কনে ফোনে ফোনে
কত বৈচিত্র হেমন্ত স্বপ্ন লতা জড়ায়।


আলাদিনের স্বপ্ন রুমালে উড়ে
হৈমন্তি দিনে কুসুমের বিয়ে; কলাগাছের গেট হেমন্তে উঠান
সাঁঝ ঘনালে বাজবে মাইক
উঠানের অন্য পাশে রান্নার উনুন জ্বলে


====আজ ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯