______এমন নিঃস্ব দিনে পথিক বড়ই বেমানান


আজ দিবালোকে
সহসা যে আলোর স্ফুরণ, মাত্রায় মাত্রায় বেড়ে চলে তাপ
গ্রীষ্মের তাপদাহ; চৌচির মৃত্তিকা শরীর দ্বি প্রহরে ছায়ার লম্ব টান
ঢলে পড়া বেলায় ছায়া তার দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয়।


ছায়ার আত্মজা বিগ্রহ পথিক
তার শরীর নিয়ে খেলে যায় ছায়া আলোর উজানে
পথিক পবন,ছায়ার আঁচলে পাদুকা হেটে যায়; বিমর্ষ ধুলোর
আবির ছায়া মাড়িয়ে খেলা করে।
পথিকের বোধ বুদ্ধির আড়ালে
দমকা হাওয়া আচমকা খেই হাড়িয়ে পেন্ডুলামের মত
পথিকের শরীর কেঁপে উঠে; বাবলার ডালে নব পল্লবিত
কাটা যুগোল বায়ু সনে দুলে দুলে উঠে।
খণ্ডিত পথিকের ছায়া আঁকা বাঁকা পথে খসে পড়ে
উড়ুন বায়ুতে মাখা ধুলোর মতো।


পথিকের ছায়ায় বাক ধরেছে, কৈশোর যৌবন
মধ্যবয়সের প্রাক্কালে; সবুজ ঘাসের মৌনতা বুঝে
সনাতন ধুলো মর্মকথা শোনে, পথের আঁকা বাঁকা ব্যঞ্জন
ধরিত্রী সম্ভ্রম পৌনঃপুনিক বিন্দুর কোটায়
মানচিত্র তাকে ধুলোয় ঢেকে রাখে।


আজ দিবালোকে স্বপ্ন ঘন ঘাম চুইয়ে চুইয়ে
পথিক ছায়ায় আঁকা বিদ্রূপ; পদ ভারে চাপা পড়ে পাদুকা তলে
এমন নিঃস্ব দিনে পথিক বড়ই বেমানান।


১৪২৯/বৈশাখ/গ্রীষ্মকাল।