-----দলছুট কবিতারা


আকাশ খানিক মুক্ত বটে,
শীতের কুয়াশা ঢাকা; মাঘের শীতে বাঘ কান্দে!
ফুটপাতে উনুনে কাগজ পোড়ার ধুঁয়া উঠে।


পথিক ঠেলে [পথিক হাঁটে]
নগর পথে বিড়ম্বনা; বেওয়ারিশ কুকুর ভাগার ঠেলে
পোলাও গোস্তের ঘ্রাণ শুঁকে হাড্ডি গুলে চিবায় মুখে।
কুঁইকুঁই আওয়াজে বিদ্রুপ ঠেলে
মাথার উপর কাকের ঝাঁক; কা কা করে ছোঁ মাড়ে
ঠোঁটে কিছু মাংস এঁটে উড়ে বসে বিদ্যুতের তারে।
_______[১]


আমাতে আমি খেই হারিয়ে
ধরলাম যখন [দিনের লাগাম] ছুটছে বেগে
পাগলা ঘোড়ার লাগাম হারা; চন্দ্রবিন্দুর ঐ তেপান্তরে


গাইছে গান ভৈরবী রাগে
বেলা বাড়ার অন্তিম কালে!
দেখলাম পিছে নেই তো কেউ
আমি শুধু একলা আমি
দিনের লাগাম ধরেছি বটে; খাচ্ছে গিলে ক্ষণগুলো সব
ঢলে পড়া বেলা কাঁদে
যা ইচ্ছা তাই, স্বাধীন বলে
অথচ দ্যাখো লাগাম সে তো আমার হাতেই
______[২]


মাঘে দাঁড়িয়ে থাকে নাঙা আমলকী বন। শীত তার বস্ত্র করেছে হরণ। নিঃস্ব একহারা। শাখা প্রশাখায় শীড়দারা রয়েছে খাড়া। কুয়াশার শীতল স্পর্শে, শাখা প্রশাখায় শিশির বিন্দুর অমিয় বিভ্রম আঁকে। মোহ যাতনায় ক্ষয়ে যায় অতলান্তিক দ্রোহ। একা কি নিঃস্ব বন, শুধু আকাশ পানে চেয়ে চেয়ে নিবির একাকিত্বে কুয়াশা ঢাকে।


তাই তো আমাকে নিয়েছে টেনে। [আমলকী সতরঞ্জি]।
________[৩]


জড় জীব যুদ্ধে রত
যায় কিছু ক্ষয়ে; মুষ্টিমেয় জয় পরাজয়ে নিত্য খেলে
সুবোধ জীবন যায় বেড়ে যায়
প্রত্যহ ক্ষয়ে ক্ষয়ে!


নিঃস্ব একা একদিন জীবন
জড় পথেই হাটে; বড়ই মায়ার! সুখ দুখের হাটবাজার
নিত্য টানে পাপ পুণ্যের হিসাব কষে
[জড় জীবের তফাৎ] মিলে!


মাটি তোর শরীর যখন
মৃত্তিকা সিধে জীবন গড়; নইলে প্রাতে দম্ভ খর্ব
রসাতলে যায় শেষে মাটিতে মিশে
সজীব বিলাস মুহুর্তকালে গুঁড়িয়ে যায়!
_______[৪]


১৪২৫/মাঘ/শীতকাল