বুকের ছাতি তড়পানো কান্না


বুকের ছাতি তড়পানো কান্না
আকাশ বাতাস যখন কষ্টে ভারাক্রান্ত
হাওয়ার মৌনতা ভেঙে শুধু বাঁচার জন্য ছুটাছুটি
একি অদৃষ্টের লেখা নাম; মানুষ
খোলা জঙ্গলে হিংস্র জীবজন্তুদের সাথে সহবাস
তবু কেন যে আত্মরক্ষার জন্য এখনো টারজান বুনে যায়নি?
সভ্য মানুষের গায়ের ছালে এখন আর ফসকা পরে না।


হিংস্র শকুনের নখের থাবা
এখন বড়ই বিস্ময়কর আধুনিক যন্ত্রণাদায়ক;
খুব কমই আছে ঘৃণ্য প্রাণী
যারা তাদের নিজেদের শরীরের মাংস নিজেরেই খায়
অথচ আমরা মানুষ বিংশ শতাব্দিতে দাড়িয়ে
মানুষ হত্যায় নেমেছি;
এ যেন প্রতিযোগিতা হত্যাযজ্ঞের
মানুষের দেহের খণ্ডাংশ
যখন ধ্বংসপ্রাপ্ত পাথরের গায় লুটায়; কুড়িয়ে
কুড়িয়ে টুকরাগুলো স্বজনদের চেনার ব্যর্থ প্রচেষ্টা
এইতো এখানেই আমার ঘর ছিল?
এই ঘরেই আমার তিন সন্তান ছিল,
তাদের আদরের মা ছিল;
আমার মা বাবা ছিল! সবাই তারা
ধ্বংসস্তুপে মৃত আকড়ে নিমজ্জিত।


১৪২১@৩১ আষাঢ়, বর্ষাকাল।